মোদীর মাস্ক পরা দেখেই বিএসএফ জওয়ানদেরকে মাস্ক বিতরণ বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্তে

0
1495

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরামর্শ দিয়েছিলেন, বাইরে বেরোলেই যেন সবাই মাস্ক পরেন। এমনকি বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বক্তৃতায় মোদী এও বলেন, ঘরে থাকলেও মুখে একটা কাপড় জড়িয়ে রাখুন। তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে।

সোমবার সকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল স্থল বন্দরে গিয়ে দেখা গেল কর্মরত বিএসএফ জওয়ানদেরকে মাস্ক(মুখোশ)পরিয়ে দিয়ে হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করছেন কয়েকজন যুবক৷ পেট্রাপোল বিএসএফ এর সূত্রে জানা যায় এদিন সকালে বিজেপি বারাসাত সাংগঠনি জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মন্ডল সহ বনগাঁর কয়েক জন বিজেপি কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবকেরা জওয়ানদের জন্য মাস্ক(মুখোশ) এবং প্রচুর পরিমাণে হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করেন৷

বিজেপি বারাসাত সাংগঠনি জেলার সহ সভাপতি দেবদাস মন্ডল বলেন গত শনিবার ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি ভিডিও কনফারেন্সে প্রথম দেখা যায় তিনি নিজেও মাস্ত ব্যাবহার করছেন ঘরে থেকেও, তারপরই আমাদের মনে হয়েছে সাধারণ মানুষ সহ সীমান্তে প্রহড়ারত বিএসএফ জওয়ানদেরকেও সামর্থ মতো মাস্ক পৌঁছেদেব।বিশেষ করে জওয়ানরা তাঁদের জীবনকে এক রকম বাজী রেখে নিজের পরিবার ছেড়ে গোটা দেশের জন্য লড়াই করছেন, আমরা তাঁদের পাশে থেকে তাঁদেরকে এই অনুভূতিটুকু দেওয়ার চেষ্টা করেছি দেশের সমস্ত মানুষও তাঁদের পাশে আছে।


দিল্লি, ওড়িশা সরকারও ঘোষণা করেছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক

সেই পথেই হাঁটল বাংলাও।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশের ‘স্পর্শকাতর’ এলাকা চিহ্নিত করে বিশেষ নজরদারির পর এ বার মাস্ক। করোনা-সংক্রমণ রুখতে মাস্ক বা মুখাবরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল রাজ্য সরকার।
এই মর্মে রবিবার মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ একটি নির্দেশিকা জারি করেন। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মানুষজন বাইরে বেরলে যে কোনও ধরনের মুখাবরণ থাকা আবশ্যক। সেই মুখাবরণ মাস্ক হতে পারে, দোপাট্টা বা গামছা হতে পারে। এমনকি যে কোনও কাপড়ের টুকরো বা রুমালও, যা নাকমুখ ঢাকতে পারে, তা হতে পারে৷ মোদ্দা কথা, মুখ-নাক ঢেকেই রাস্তায় বেরোতে হবে।
তবে মাস্কের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ করেছে পড়শি রাজ্য ওড়িশাও৷

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কয়েক সপ্তাহ ধরেই মুখাবরণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল সরকারের অন্দরে। ইতিমধ্যেই ভারতের কয়েকটি রাজ্যে মুখাবরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, যেহেতু ড্রপলেট থেকেই এই রোগ ছড়ায়, সেহেতু প্রকাশ্যে মুখাবরণের ব্যবহার সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী পদক্ষেপ। ওই চিকিৎকদেরই একটি অংশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, যখন কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ তৃতীয় পর্যায়ের দোরগোড়ায় পৌঁছয়, অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হয়, সে ক্ষেত্রে মুখাবরণের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনার কথা স্বীকার করা হয়নি, তবে সরকারের এই পদক্ষেপ তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছেন এ চিকিৎসকরা।

Previous articleপুলিশকে ডাকলেন বৃদ্ধ, ছুটে গেল পুলিশ, বৃদ্ধ এগিয়ে দিলেন করোনা-তহবিলে১০ হাজার টাকার চেক!
Next articleবাংলা নববর্ষের দিন সকাল ১০টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here