দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন জেতার পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, মুকুল রায়কে হয়তো মন্ত্রী করবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। কিন্তু মন্ত্রী করা হল না বঙ্গ বিজেপি-র ভোট সেনাপতিকে। কেন?
মুকুলবাবু এখন আর সংসদের সদস্য নন। যদিও মন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে সেটা কোনও বাধা হতো না। ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে রাজ্যসভায় নিয়ে গেলেই হতো। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদী-শাহের লক্ষ্য একুশের বাংলা। তাই মুকুলকে সেই কাজেই ব্যবহার করতে চান তাঁরা।
ইতিমধ্যেই অন্য দলের বিধায়কদের গেরুয়া শিবিরে সামিল করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছেন, “তৃণমূল দলটা উঠে যাবে।” সেই কাজেই মুকুলবাবু যাতে আরও বেশি করে মনসংযোগ করতে পারেন তাই তাঁকে ‘ফাঁকা’ রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুকুল রায়কে দায়িত্ব দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শাসকের দাপটে বাংলায় ৩৪ শতাংশ আসনে ভোটই হয়নি। তবু যে সব জায়গায় ভোট হয়েছিল, জঙ্গলমহলের সে রকম একাধিক ব্লকে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি ধসিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। লোকসভা ভোটেও বাংলার নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল ভোট বোঝা মুকুলকেই। একাধিক কেন্দ্রে তাঁর পছন্দের প্রার্থীদের নামেই সিলমোহর দিয়েছিল বিজেপি হাইকম্যান্ড। রেজাল্টও দিয়েছেন তিনি।
সামনের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালে একাধিক পুরসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনেও মুকুলকে ভোটের সেনাপতি হিসেবে ব্যবহার তার পরের বছরই বিধানসভা।
বাংলা দখল এ বার বিজেপি-র পাখির চোখ। লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো থেকে শুরু করে কমিশনের উপর চাপ তৈরি করতে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে গিয়েছেন মুকুল রায়। বিজেপি-র অনেকের মতে, মুকুল রায়কে মন্ত্রী করার চাইতে সাংগঠনিক কাজে ব্যবহার করলেই তৃণমূল উদ্বেগ থাকবে।
এ ব্যাপারে মুকুল রায় জানান, মন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে আমার কোনও দিনই কোনও উচ্চাকাঙ্খা ছিল না। আমি জানি আমায় কী করতে হবে। মোদীজি, অমিতজিও জানেন। সুতরাং এটা কোনও ব্যাপারই নয়।