দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মায়নামারে হুলস্থুল কাণ্ড। নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেশের দখল নিল সেনা। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির নেত্রী আং সান সুচিকে আটক করল সেনাবাহিনী। আজ ভোরে বাড়ি থেকে সুকিকে আটক করা হয়েছে। সুচির পাশাপাশি শাসকদলের আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে সেনা আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্র মারফৎ খবর, এক বছরের জন্য সে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সেনাবাহিনী।
ফের সেনা অভ্যুত্থান দেখা গেল মায়া সেখানকার সরকারি গণমাধ্যমে সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিল শাসক দল এনএলডি। সেই মতোই মায়ানমারের রাজধানী নাইপিডো এবং অন্য বড় শহরগুলি এই মুহূর্তে চলে গিয়েছে সেনার দখলে। রাস্তায় টহল দিচ্ছে বিশাল বাহিনী। ইন্টারনেট ও টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর সঙ্গে শাসক দলের এই সমস্যার সূত্রপাত কিন্তু গত বছর থেকেই। গত বছর নভেম্বর মাসে নির্বাচনে জয়ী হয় আওং আন সু কি-র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। কিন্তু সেনাবাহিনী অভিযোগ তুলেছিল, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। তার জেরেই এই অভ্যুত্থান বলে মনে করা হচ্ছে।
মায়ানমার অবশ্য সেনার দখলে থাকার ঘটনা নতুন নয়। বছর দশেক আগে সেদেশে সেনারই শাসন ছিল। এক-দুই নয় দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে মায়ানমার শাসন করেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু তারপরে সেখানে নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী দল ক্ষমতায় আসে। সেভাবেই ক্ষমতায় এসেছিল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি। সোমবার থেকেই প্রথম অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই বেশিরভাগ নেতাকে আটক করেছে সেনা।
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির মুখপাত্র মায়ো নান্ট বলেছেন, আওং সান সু কি ও প্রেসিডেন্ট ভিন মিন্টকে আটক করা হয়েছে। এতে কেউ উত্তেজিত হবেন না। আইন মেনেই সব কাজ হবে। মায়ো আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে তাঁকেও আটক করা হতে পারে। যদিও সেনার তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে মায়ানমারে এই সেনা অভ্যুত্থানের প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির উপর পড়তে পারে বলেই মনে করছে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক মহল।