দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা উপলক্ষে হুগলির বৈদ্যবাটিতে সভা ছিল। সেই সভায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সেই জিতেনকে পাশে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে কিম্ভূত কিমাকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হোঁদল কুতকুত বলছেন তাতে পরিষ্কার তৃণমূলের নেতানেত্রীদের মানসিক ভারসাম্য নেই।”
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে এই শব্দবন্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। বলেছিলেন দু’জন নেতা দেশ চালাচ্ছে। একটা হোঁদল কুতকুত, আরএকটা কিম্ভূতকিমাকার। এই বক্তব্য কতটা শালীন তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ইতিমধ্যে।
বৈদ্যবাটি সংস্কৃতির শহর হিসেবেই পরিচিত। তৃণমূল যখন বাংলা-বাঙালি হাতিয়ার করে রাজনীতি করছে তখন সেই শহরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, রুচি নিয়েই প্রশ্ন তুলতে চাইলেন রাজীব।
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তেজস্বী যাদবের বৈঠক নিয়ে এদিন ফের একপ্রস্থ তোপ দাগেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর কী ভাবে রাজ্যের সচিবালয়ে তেজস্বী যাদবকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক কথা বলেন? এটা কি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নয়?” তাঁর কথায়, “আমি কমিশনের কাছে বলতে চাই, এই দলটাকে নির্বাচন থেকে বাতিল করা হোক।” এদিন রাজীব ছাড়াও এই কর্মসূচিতে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষরা।