মমতার পাড়ায় মৃতদেহ নিয়ে বিজেপি, ধুন্ধুমার কালীঘাটে

0
589

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বিজেপি নেতা মানস  সাহার মৃত্যু হয়েছিল বুধবার। ঠাকুরপুকুরের একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই নেতার দেহ নিয়েই একেবারে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে গেল বিজেপি। নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ অর্জুন সিং, প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল-সহ একাধিক নেতারা ছিলেন দেহ নিয়ে মিছিলে। তা নিয়েই এদিন সন্ধে বেলা ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গেল দিদির বাড়ির দুয়ারের কাছে।

বিজেপির বক্তব্য, নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন সন্ধেবেলায় মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী মানসকে বেধড়ক পেটায় তৃণমূল। তারপর বেশ কিছুদিন তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মাঝে বাড়ি ফিরলেও ফের অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে বিজেপি নেতৃত্ব ভর্তি করে ঠাকুরপুকুরের নার্সিংহোমে। গতকাল সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের মারেই মৃত্যু হয়েছে মানসের।


এদিন কালীঘাটের কাছাকাছি পৌঁছে যায় শবদেহ গাড়ি। সেই গাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই রাস্তা আটকে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন সুকান্ত, অর্জুন, প্রিয়াঙ্কা, জ্যোতির্ময় মাহাতোরা। কিছুক্ষণ স্লোগান দেওয়ার পরেই পুলিশ গিয়ে হস্তক্ষেপ করে। জমায়েত হঠানোর চেষ্টা করে কলকাতা পুলিশের বাহিনী। তখনই ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। দেখা যায় পুলিশের সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের বচসা হতে হতে তিনি রাস্তায় বসে পড়েন। এরপরই বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতিকে টেনে হিঁচড়ে তোলে পুলিশ। বিজেপি এরপর অভিযোগ করে, মানস সাহার লাশ হাইজ্যাক করেছে পুলিশ।

এদিন অর্জুন সিং বলেন, পশ্চিমবাংলায় শাসন নেই। এখানে শাসকের আইন চলছে। বিজেপি কর্মীর লাশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে যাওয়াকে নিন্দা করে তৃণমূল বলেছে, এই সংস্কৃতি যদি বিজেপি চালু করতে চায় তাহলে লক্ষ লক্ষ মানুষের লাশ জমা হবে দিল্লিতে বিজেপি পার্টি অফিসে।

Previous articleপুজোর আগেই হাসিনা সরকারের উপহার, বাঙালির পাতে এবারও ওপার বাংলার পদ্মার ইলিশ
Next articleপ্রচারের আগে ভবানীপুরে জৈন মন্দিরে পুজো মমতার

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here