দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দিনে-দুপুরে শ্যুট আউট মধ্যমগ্রামে! ঠিক যেন সিনেমার কোনও দৃশ্য ঘটে গেল মঙ্গলবার সকালে। দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হলেন প্রোমোটিং ব্যবসায়ী। জানা গেছে, রীতিমতো পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে লুটিয়ে পড়েন প্রোমোটার অশোক সর্দার। ৫০ বছরের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে জানান ডাক্তাররা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রোমোটিং সংক্রান্ত গন্ডগোলের কারণে মধ্যমগ্রামের রোহান্ডা চন্ডীগড়ের প্রোজেক্ট সাইটে গুলি চলেছে। অশোক সর্দারকে লক্ষ করে পরপর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
তবে নিহত প্রোমোটারের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, বিজেপি সমর্থক ছিলেন অশোক সর্দার। ব্যবসায়ীর নিজের ছেলেও দাবি করেন, তাঁরা সকলেই সক্রিয় বিজেপি কর্মী। আর এর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাটি রাজনৈতিক মাত্রা পেয়ে গেছে। অভিযোগ উঠেছে, শাসক দল ও প্রশাসনের চক্রান্তে তাঁকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।
নিহত অশোক সর্দারের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার নারায়ণপুরে। তাঁর ছেলে লাল্টু সর্দার যুব মোর্চার জেলা স্তরের নেতা।
মৃত্যুর পরে অশোকবাবুকে মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত হাসপাতালে। ততক্ষণে রাজনৈতিক ভাবে তোলপাড় পড়ে যায় এই মৃত্যু নিয়ে। ফের অভিযোগ ওঠে, মৃতকে ডেথ সার্টিফিকেট না দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের আগে বারাসত হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মৃত্যুর চার ঘণ্টা আগেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করে পরিবার।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব ও নিহতের পরিবারের দাবি, অশোক সর্দারকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে দ্ৰুত তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছে পুলিশ প্রশাসন ও চিকিৎসকদের একাংশ। বারাসত হাসপাতাল উত্তাল হয়ে ওঠে বিজেপি ও পরিবারের বিক্ষোভে।
তবে খুন সম্পর্কিত অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য ও প্রতিক্রিয়া এই প্রতিবেদন লেখা অবধি পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেলে তা প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।