দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের পর ১৫ দিন কাটতে চলল। কিন্তু রাজনৈতিক উত্তেজনা এখনও টানটান টিটাগড়ে। বুধবার ওই এলাকায় ববি হাকিমের নেতৃত্বে শান্তি মিছিল করেছিল তৃণমূল। আজ, শুক্রবার সেই টিটাগড়ে পাল্টা মিছিল ডেকেছে বিজেপি। নাম দেওয়া হয়েছে হাল্লাবোল মিছিল। নেতৃত্ব দেবেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়।
আজকের মিছিল থেকে যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায়, সে ব্যাপারে সতর্ক পুলিশ। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিরাট বাহিনী মোতায়েন থাকছে ওই এলাকায়।
বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূল যে মিছিল করেছিল তাতে স্থানীয় লোক ছিলই না। কামারহাটি, ঘোলা, দক্ষিণেশ্বর, আলমবাজার থেকে লোক এনে মিছিল করতে হয়েছিল শাসকদলকে। তাঁদের বক্তব্য, আজকের মিছিলে এলাকার মানুষই শামিল হবেন।
গত ৪ অক্টোবর, রবিবার রাত আটটা নাগাদ টিটাগড়ে বিটি রোডের উপর বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে মণীশ শুক্লকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। রাতেই বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় মণীশের। পর দিন ব্যারাকপুর বনধ ডাকে বিজেপি। উত্তাল হয়ে ওঠে ওই এলাকা।
ইতিমধ্যেই বিজেপি সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। মণীশ খুনের কিনারা করতে রাজ্য সরকার দায়িত্ব দিয়েছে সিআইডিকে। সেই তদন্তে এখনও পর্যন্ত কয়েকজন শ্যুটার ও এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুররাম নামের সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে মণীশের দীর্ঘ দিনের সংঘাত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
টিটাগড় থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে গুলি করা হয়েছিল মণীশ শুক্লকে। এ ব্যাপারে ব্যারাকপুরঙের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেছেন, এই খুনের ঘটনায় পুলিশেরও যোগ রয়েছে। না হলে দুষ্কৃতীরা ওই এলাকায় কার্বাইন নিয়ে এল, গুলি করল আবার পালিয়েও গেল তা হতে পারে না। যদিও তদন্তকারীদের এখনও বক্তব্য, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মণীশকে খুন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।
তবে শুক্রবার মুকুল রায়ের মিছিল ঘিরে টানটান উত্তেজনা রয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। অনেকের মতে, এদিন গেরুয়া শিবির তৃণমূলের পাল্টা মিছিল করে শক্তি প্রদর্শন করতে চাইবে। এবং মিছিলের নামেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে চড়া সুরেই স্লোগান উঠবে। কিন্তু তাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা যাতে অন্যত্র না ছড়ায় সে ব্যাপারে সতর্ক প্রশাসন।