দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা ভোটের আগেও বাংলায় রাজনৈতিক প্রচারে বার বার ‘ভাই-ভাতিজার’ (পড়ুন ভাই-ভাইপোর) প্রসঙ্গ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
কিন্তু একুশের লড়াই আরও কঠিন। বাংলায় ক্ষমতা দখল করতে চায় বিজেপি। রবিবাসরীয় দুপুরে শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে তাই বিকল্পের সন্ধান দিতে চাইলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চড়া সুরে বললেন, “কোনও শাহজাদা বা রাজপুত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন না, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মাটি থেকে উঠে আসা এ রাজ্যেরই কোনও নেতা”।
এ প্রসঙ্গেই এদিন পরিবারতন্ত্র নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলকে আঘাত করতে চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন যুব তৃণমূল সভাপতি। তবে গোটা বাংলা জানে, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে অভিষেকই কার্যত এখন মাদার থেকে যুব তৃণমূলের সামগ্রিক সংগঠন পরিচালনা করেন। হতে পারে পরিবারতন্ত্র নিয়ে সে দিকেই আঙুল তুলতে চেয়েছেন অমিত শাহ।
এদিন শহিদ মিনারের সভায় দুর্নীতি প্রসঙ্গেও ‘ভাতিজা’ শব্দের উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি বলেন, ভাতিজা থেকে পঞ্চায়েত প্রধান পর্যন্ত অধিকাংশই ভ্রষ্টাচারি তথা দুর্নীতিপরায়ণ। সেই সঙ্গে নিচু তলায় মানুষের উপর রোজ অত্যাচার হচ্ছে। সিন্ডিকেটের জুলুম চলছে, দলবাজি হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এ সব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর কথায়, আমরা জানি যারা মানুষের উপর জুলুম করে তাদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়।
বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথায়, অমিত শাহও বিলক্ষণ জানেন পরিবারতন্ত্র নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেও বহু নেতা কর্মীর অসন্তোষ রয়েছে। বিশেষ করে প্রথম দিন থেকে যাঁরা তৃণমূল করছেন তাঁদের অনেকেই ক্ষমতার বৃত্তে নেই। পরিবারতন্ত্র নিয়ে তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেশি। তা ছাড়া এ ব্যাপারে বাংলার সাধারণ মানুষেরও একাংশেরও উষ্মা রয়েছে। তা আরও খুঁচিয়ে দিতেই সে কথা বারবার বলেছেন অমিত শাহ।
এ ব্যাপারে দলীয় তরফে তৃণমূল এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তা জানালে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।