ভাষা শহীদদের স্মরণে ক্যা বিরোধী আন্দোলনের ডাক জ্যোতিপ্রিয়র

0
777

পার্থ সারথি নন্দী,পেট্রাপোল: ভাষা শহীদদের স্মরণে ক্যা বিরোধী আন্দোলনের ডাক আয়োজকদের। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রতিবারের মতো এবারও পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে মাতৃভাষা উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ছিলেন ওপার বাংলার মন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্য রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিত্বরা। এপারের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন বনগাঁ পৌরসভার প্রধান শঙ্কর আঢ্য, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিনা মন্ডল, বনগাঁ দঃক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সুরজিৎ বিশ্বাস, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য, প্রাক্তন চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য,ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ সহ কবি-শিল্পী-সাংবাদিক সাহিত্যিকদের একটি প্রতিনিধিদল।

পেট্রাপোল এবং বেনাপোল সীমান্তে আলাদা আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়। দু দেশের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন দুপারের মঞ্চেই। একে অপরকে ফুল, মিষ্টি উপহার দিয়ে বরণ করে নেন। তার আগে নোম্যান্সল্যান্ডে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন প্রতিনিধিরা।

এই অনুষ্ঠানেই ক্যা বিরোধী আন্দোলনের ডাক দেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, এই কাঁটাতারের বেড়া দুই বাংলার মানুষকে আলাদা করে রাখতে পারবে না।

পাখির যেমন কোন সীমানা নেই, দুই বাংলার মানুষের মধ্যেও সেরকম কোন সীমানা নেই। একদিন এই কাঁটাতার উঠে যাবে জার্মানির মতো। তখন এক হয়ে যাবে দুই বাংলা। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। আমরা কেন্দ্র সরকারের ক্যা মানি না‌।

ওপার বাংলার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ৮৫ যশোর-১ শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন ,শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২১ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব নূরুজ্জামান,স্থানীয়,পল্লী ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য,হোসাইন চৌধুরী,

যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ, যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, বেনাপোলস্থলবন্দরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব /ট্রাফিক) আব্দুল জলিল, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম রেজা, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু ও শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুজ্জামান সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীরা।

এপার বাংলার অনুষ্ঠান মঞ্চে হাজির বিভিন্ন প্রতিনিধিদের মাথায় একুশে ফেব্রুয়ারি লেখা ফেট্টি ছিল তাতে ক্যা বিরোধী কথা লেখা ছিল। অন্যান্যবার বাংলাদেশ থেকে প্রচুর ভাষাপ্রেমী ভারতের অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও এবছর তাদেরকে আসার অনুমতি দেয়নি বিএসএফ। কারণ হিসেবে জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ কর্মসূত্রে চিনে যান। সে দেশে এখন করোনা আক্রান্ত প্রচুর মানুষ রয়েছেন।

এছাড়াও অনেক যাত্রী এদিন চিকিৎসার প্রয়োজনেও ভারতে এসেছে, তারা কোন রোগে আক্রান্ত দেখে বোঝার উপায় নেই, তার উপরে সীমান্তে এদিন কোন বিশেষ মেডিকেল টিমও চোখে পড়েনি, অর্থাৎ সব মিলিয়ে করোনা আতঙ্কের জেরে সাধারণ মানুষের ভিড় তেমন ছিলনা বলেই মনে করছেন আয়োজোকরা।

ফলে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে যাতে করোনা ভাইরাস না ছড়ায় সেইজন্যই বাংলাদেশের মানুষদেরকে এই অনুষ্ঠানের বেশি সংখ্যায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রের খবর৷ দেখুন – ভিডিও:

এদিন অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন রুপঙ্কর সহ বিভিন্ন শিল্পীরা। নীচে রইল “একুশের”- ছবি:

Previous articleএকুশে ফেব্রুয়ারি,শূন্যরেখায় ফের মিলন দুই বাংলার
Next article21 st February -the language martyr day at Petrapole

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here