ভারী বৃষ্টি নয় আর্দ্রতায় বাড়বে অস্বস্তি, জানাল হাওয়া

0
778

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এখন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে। যদিও দক্ষিণবঙ্গের দু-একটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে তাতে তাপমাত্রার কিছু হেরফের হবে না। বরং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। চরম আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা-গুমোট গরমে দিনেরবেলায় হাঁসফাঁস করবেন সাধারণ মানুষ।

আবহাওয়া দফতরে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তা স্থলভাগে ঢুকে শক্তি হারিয়েছে। যদিও তেলেঙ্গানার উপর এখন সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থা করছে। ফলে গতকাল থেকে তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে বিশেষ করে হায়দরাবাদে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ সকালে বৃষ্টি চলছে সেখানে। প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়েছে নিচু এলাকা। ডুবে গিয়েছে রাস্তাঘাট। কার্যত বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে এই নিম্নচাপ ক্রমশ কর্নাটক উপকূলের দিকে এগোচ্ছে।

আগামী ১২ ঘণ্টায় অবস্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি শক্তিও বাড়াবে এই নিম্নচাপ। অন্ধ্র, কেরল, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা উপকূল ছাড়াও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাতে। হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, এই নিম্নচাপের একটি অংশ পূর্ব-মধ্য আরবসাগরের নিম্নচাও অক্ষরেখা ও ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গে মিশে শক্তি বৃদ্ধি করবে। তার প্রভাবেই মূলত মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্নাটক ও কেরল উপকূলে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। অন্যদিকে গতকাল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় যে হারে বৃষ্টি চলছে তাতে বেশ কিছু এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

কলকাতায় আজ আকাশ আংশিক মেঘলা। মাঝে মাঝে হাওয়াও দিচ্ছে। দু-এক পশলা বিক্ষিপ্ত হাল্কা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় সকাল থেকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে চরমে। আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। গতকাল সন্ধ্যায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি।

বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি। মৌসম ভবন জানিয়েছে, মধ্য ভারত থেকে এখনও বিদায় নেয়নি বর্ষা। বাংলা থেকে বর্ষা বিদায় নিতে দেরি আছে।

Previous articleছবির লড়াই:PHOTO FIGHT/EDITOR’S CHOICE :
Next article২০২০ সালে জিডিপি–তে ভারতকে পিছনে ফেলবে বাংলাদেশ,আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দেশ, সতর্কবার্তা আইএমএফ-এর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here