দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ফের বড়সড় সাফল্য পেল বিএসএফ। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার জোনের আওতাধীন সীমান্ত জেলা নদিয়ায় মোতায়েন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানরা ১২ লাখ টাকার সোনার গয়না সহ দু’জন বাংলাদেশি মহিলাকে গ্রেপ্তার করল। ওই দুই মহিলার নাম নূপুর শেখ ও রোশনি ঘোষ। বিএসএফসূত্রে জানাগিয়েছে,সীমান্ত পারাপারের সময় ধরা হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই ২ বাংলাদেশী মহিলা। তাদের কাছে থেকে গয়না ছাড়াও আরও বেশকিছু সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কীভাবে তাদের কাছে অত টাকা মূল্যের গয়না ও বাকি সব সামগ্রী এল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, গতকাল চৌকি জিতপুরের এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার খবর পায় বিএসএফ। যার ভিত্তিতে সীমান্তে চৌকির জওয়ানদের সতর্ক করা হয়। সকাল সাড়ে দশটার দিকে সীমান্তে নিযুক্ত জওয়ানরা সীমান্তের রাস্তার কাছে দু’জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখে তাদের থামতে বলে, কিন্তু তারপরই তারা পালাতে গেলে ধরে ফেলে জওয়ানরা। তখনই তাদের থেকে নগদ ২২ হাজার টাকা এবং ৬ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। সঙ্গে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করে।
জানা গিয়েছে, বছর কয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে নুপুর শেখ ও রশনি ঘোষ। এদেশে এসে নদিয়ার শান্তিপুরে বসবাস শুরু করে তারা। রানাঘাট থেকে তারা ওইসব গয়না কেনে। এবার বাংলাদেশে ফিরতে চাইছিল তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই সময়ই ওই দুই মহিলাকে পাকড়াও করে সীমা সুরক্ষা বলের জওয়ানরা।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে অজ্ঞাত এক দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরার ছক কষে নুপুর ও রশনি। তার জন্য ওই দালালকে মোট ৪ হাজার টাকা দেয় তারা। কিন্তু তারপরেও পারাপারে সময় ধরা পড়ে যায় ওই দুই জন। ধরা পড়ার পর গয়নার বিষয়ে তারা কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি বলেই জানা যাচ্ছে।
আর শুধু গয়নাই নয়, তাদের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা নগদ ও ৬টি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অত টাকার গয়না, নগদ ও মোবাইলগুলি নিয়ে তারা কী উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ফিরছিল সেবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই পারাপারের পিছনে ওই দালাল ছাড়াও আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই দিকটিও।
তারা আরও জানায়, যে রানাঘাট থেকে এই সমস্ত গয়না কেনা হয়েছিল। আজ তারা একজন অজানা ভারতীয় দালালের সহায়তায় বাংলাদেশে ফিরে যাচ্ছিল এবং এজন্য তারা দালালকে মোট ৪ হাজার টাকা দিয়েছে। কিন্তু কেন এত বিপুল পরিমাণে এগুলো তারা কিনে ছিল তা জানা যায়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তী আইনি কার্যক্রমের জন্য বাগদা থানার হাতে তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়েছে।
৯৯ ব্যাটেলিয়নেরর কমান্ডিং অফিসারের কথায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর ফলে অনুপ্রবেশকারী এবং দালালরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন ধরা পড়ছে এবং আইন অনুসারে তাদের শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে বিএসএফের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে। তবে আজ ফের চোরাচালান রুখতে বড় সাফল্য লাভ করল বিএসএফ।