দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক ২০২০-এর সূচনায় বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, করোনার ধাক্কা সামলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতের অর্থনীতি। তাঁর কথায়, বিনিয়োগকারীদের সামনে লাল কার্পেট পেতে দিচ্ছে ভারত। ভারতে তাঁদের যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, খুব কম দেশই তা দিতে পারে।
ভারতে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করার জন্য শুরু হয়েছে তিনদিনের ভারচুয়াল ইভেন্ট। তার থিম হল, ‘বি দ্য রিভাইভাল : ইন্ডিয়া অ্যান্ড এ বেটার ওয়ার্ল্ড’। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, তাদের ধারণা, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি চলতি বছরে সংকুচিত হবে ৫.২ শতাংশ। বিংশ শতকের তিনের দশকের পরে আর কখনও অর্থনীতি এভাবে সংকুচিত হয়নি। এপ্রিলে আইএমএফ বলেছিল, চলতি বছরে ভারতের অর্থনীতি বিকশিত হবে ১.৯ শতাংশ হারে। এই পরিস্থিতিতে এদিন বিভিন্ন কোম্পানির পাঁচ হাজার প্রতিনিধির সামনে ভারতকে বিনিয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র বলে তুলে ধরেন মোদী।
তাঁর কথায়, “যা অবিশ্বাস্য, তাকে অর্জন করার মানসিকতা ভারতের রয়েছে। বিশ্বের মঙ্গলের জন্য ভারত সবকিছুই করতে রাজি। এখন ভারত নিজেকে সংস্কার করছে। নানা ক্ষেত্রে আগের চেয়ে দক্ষ হয়ে উঠছে।”
মোদীর দাবি, গত ছ’বছরে ভারত আর্থিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট কৃতিত্ব দেখিয়েছে। আবাসন ও পরিকাঠামো নির্মাণ এবং করকাঠামো সংস্কারের ক্ষেত্রেও অনেক এগিয়ে গিয়েছে দেশ। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রেও বিনিয়োগের সুযোগ বেড়েছে।
এরপরেই মোদী করোনা অতিমহামারীর প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এই সময় ভারতের ওষুধ শিল্প প্রমাণ করেছে, তারা সামগ্রিকভাবে বিশ্বের কাছেই সম্পদ। আমরা বিভিন্ন ওষুধ বানানোর খরচ ব্যাপক হারে কমিয়ে দিয়েছি। তাতে উন্নয়নশীল দেশগুলির সুবিধা হয়েছে।
ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক ২০২০-এ বক্তব্য পেশ করবেন আড়াইশ জন। ভূ-রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, ব্যাঙ্কিং, ওষুধশিল্প, প্রতিরক্ষা ও শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতের তরফে বলবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। অন্যান্য বক্তার মধ্যে আছেন ব্রিটেনের বিদেশ সচিব ডোমিনিক রাব, স্বরাষ্ট্র সচিব প্রীতি পটেল, ভারতে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত কেন জাস্টার প্রমুখ।