দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ বাংলায় বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে ২ মে। অর্থাৎ সবে ১৯ দিন হল। তিন সপ্তাহও কাটেনি। এরই মধ্যে আজ শুক্রবার রাজ্য বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিতে পারেন কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধানসভায় গিয়ে সভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেবেন শোভনদেববাবু। তবে মন্ত্রিসভার সদস্য অর্থাৎ রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন তিনি। অর্থাৎ তাঁকে হয়তো অন্য কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হতে পারে।
অনেকের মতে, শোভনদেববাবুর সম্ভাব্য এই ইস্তফা থেকেই স্পষ্ট যে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বার বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও তিনি এখনও রাজ্য বিধানসভার সদস্য নন। ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি বিধানসভা আসন থেকে জিতে আসতে হবে।
নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভবানীপুর আমার বড় বোন, নন্দীগ্রাম ছোট বোন। ভোটের পর দেখা যাচ্ছে, বড় বোনের কাছেই থাকতে পারেন দিদি। ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের আসন। তাঁর বুথও ভবানীপুরের মধ্যেই পড়ে।
তবে শোভনদেববাবুর এই ইস্তফা আরও কিছু আনুসঙ্গিক প্রশ্ন তুলছে। তা হল শোভনদেববাবু কোন আসন থেকে বিধানসভায় জেতার চেষ্টা করবেন। খড়দহ আসনে তৃণমূল জিতলেও ফল প্রকাশের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু খড়দহে শোভনদেববাবু প্রার্থী হবেন নাকি অমিত মিত্র প্রার্থী হবেন সেও দেখার। অমিত মিত্র ভোটে না লড়লেও তিনি ফের অর্থমন্ত্রী হয়েছেন। ফলে তাঁকেও মুখ্যমন্ত্রীর মতোই কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসবে হবে। খড়দহ অমিত মিত্রর পুরনো আসন।
ভোটের সময়ে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোট বকেয়া রয়েছে। তা ছাড়া দিনহাটা ও রাণাঘাটের বিজেপি বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। সেখানেও উপ নির্বাচন হবে।