দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে ভবানীপুরে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এবার উপনির্বাচনে গেরুয়া টিকিটে লড়বেন। তাঁর বিপরীতে থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।হাইকোর্টের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরিয়াল। তাঁকেই উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বেছে নিয়েছে বিজেপি।
এর পাশাপাশি জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জ কেন্দ্রেরও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল বিজেপি। জঙ্গিপুরে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন সুজিত দাস। সামসেরগঞ্জে বিজেপির হয়ে ভোটযুদ্ধে নামছেন মিলন ঘোষ।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে এ নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছিল বিজেপির অন্দরেই। অবশেষে সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পাঠাল বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও লড়াই করেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। একুশের বিধানসভা ভোটে এন্টালি কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়াই করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
যদিও ৫৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে হেরে যান আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তারও আগে কলকাতা পুরসভার ভোটে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডেও বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। কিন্তু সেবারও জিততে পারেননি তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কথায়, ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় অবাঙালি ভোটের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি প্রার্থী করল প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। ভবানীপুরে বিজেপির রণকৌশল চূড়ান্ত, বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অর্জুন সিংকে।
ভবানীপুরের আসন্ন উপনির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে ব্যারাকপুরের দাপুটে সাংসদ অর্জুন সিংকে। অর্জুন সিংয়ের সহকারী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সৌমিত্র খাঁ এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে। মূলত এই ৩ সাংসদের উপর ভর করেই ভবানীপুরে ভাল ফলের আশায় বিজেপি।
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৮ টি ওয়ার্ডের জন্য ৮ বিধায়ককে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় বড় সংখ্যক অবাঙালি ভোটার রয়েছে। সেই অবাঙালি ভোটকে বিজেপি নিজেদের দিকে টানতে অর্জুন সিংয়ের উপর দায়িত্ব দিয়েছে, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের। অন্যদিকে তৃণমূলও ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছে।