দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ৩ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। বিরোধী মহলে গুঞ্জন, যথেষ্ট অসুস্থ ট্রাম্প। ভোটের জন্য বাস্তবটা লুকিয়ে যাচ্ছেন।
এসব জল্পনায় জল ঢালতেই চিকিৎসার মাঝে রবিবার আচমকা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলেন ট্রাম্প। বোঝালেন, তিনি এখনও দুর্বল হননি। কাচ–বন্ধ গাড়িতে চেপে ভক্তদের অভিবাদন জানালেন। মুখে মাস্ক। বললেন, তাঁদের ‘চমক’ দিতেই নাকি এই পদক্ষেপ। এর পরেই শুরু তীব্র সমালোচনা। বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা বলছে, সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছেন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পকে দেখে ভক্তরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। তাঁরাও হাত নাড়তে থাকেন। কিছুক্ষণ পর ফের মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে ফিরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলে জানালেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জুড ডিরে। শুক্রবার থেকে ওই হাসপাতালে ভর্তি তিনি।
ওই সময়ই টুইটারেও একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় ট্রাম্পের তরফে। তাতে তিনি বলছেন, হাসপাতালে চিকিৎসার সময় এই করোনা ভাইরাস নিয়এ অনেক কিছু জেনেছেন তিনি। ‘এটাই আসল স্কুল। এখানে আমি অনেক কিছু শিখেছি, বুঝেছি।’
জল্পনা শুরু হয়েছিল, ট্রাম্পের শরীর নাকি বাস্তবে অনেকটাই খারাপ। হোয়াইট হাউস সে তথ্য গোপন করেছে। বিরোধীদের সেই দাবি ওড়াতে রবিবার সাময়িকভাবে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। যদিও হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কনলি রবিবার সকালে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ক্রমাগত সুস্থ হচ্ছেন। যে কোনও রোগেই সুস্থ হওয়ার সময় খারাপ–ভালো থাকেই।
তা বলে প্রেসিডেন্টের এই আচরণ মানতে পারছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। প্রশ্ন উঠল তাঁর বিচারবুদ্ধি নিয়েও। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিত্সাধীন থাকাকালীন এভাবে বাইরে বেরিয়ে নিজের সরকারের তৈরি করা জনস্বাস্থ্য নিয়মবিধি ভঙ্গ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর ফলে তিনি বিপদের মুখে ঠেলে দিলেন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস কর্মীদের স্বাস্থ্যও। এর আগেও বেশ কয়েকবার করোনা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়া এবং স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনের জন্যে কটাক্ষের সমালোচিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।