দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাঁপছে গোটা বাংলা। মারণ ভাইরাসের থাবায় একদিকে যখন হিমশিম খাচ্ছেন বঙ্গবাসী, তখন চোখরাঙাচ্ছে গরমও। বাংলায় বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র দাবদাহে মাঠের ফসল পুড়ছে,বহু এলাকায় জলের স্তর অনেকটাই নীচে নেমে রাওয়ায় চাষের জমিতে জলের অভাব দেখা দিয়েছে , মোটর চালিত মেশিনেও জল উঠছেনা, চরম অস্বস্তি রাজ্যজুড়ে।
কলকাতাতেও দহনজ্বালা অব্যাহত। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় শহর।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজ রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর মতো উত্তরবঙ্গেও শুষ্ক আবহাওয়া বজায় থাকবে। তবে সপ্তাহের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছে। গতকাল শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি বেশি। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮৬ শতাংশ, ন্যূনতম ৩২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়নি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী হয়েছে। যার জেরে সাময়িক স্বস্তি মিলেছিল। কিন্তু, সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। যদিও এ বছর বর্ষা স্বাভাবিক হবে বলেই আশার বাণী শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর।