দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: বাংলায় তখন কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে চলছে বিশ্বকর্মা পুজো,অন্যদিকে ২৪ ঘন্টায় ১৭ জনের মৃত্যু। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে গোটা বিহার জুড়ে। এই ১৭ জনের মধ্যে একাধিক শিশুও রয়েছে বলে খবর। কৈমুর, গয়া, কাটিহার, মোতিহারি, আরা, জাহানাবাদ এবং আরওয়াল এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর বেশি এসেছে।
কিন্তু কেন এমন হল? বিহার জুড়ে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। সঙ্গে প্রবল বাজ পড়তে শুরু করেছে। যার জেরেই এই ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এমনকী সেখানে নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে বানভাসীর চেহারা নিয়েছে। বহু কৃষক মারা গিয়েছে যেহেতু তাঁরা মাঠে কাজ করছিলেন। তখন বারবার বাজ পড়লে তাতে মারা যায় তাঁরা।
পরিস্থিতি চূড়ান্ত খারাপ হয়েছে পাটনাতেও। সেখানে গঙ্গার জল ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। ফলে আদালতগঞ্জ, কংকরবাগ, শ্রীকৃষ্ণপুরী, পাটালিপুত্র এবং রাজেন্দ্রনগর ভেসে গিয়েছে। সেখানে জল জমে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বুধবার এই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন।
বেলা গড়াতেই বৃষ্টি বনগাঁ শহরে
বিশ্বকর্মা পুজোর দিনও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
বুধবার সকাল থেকেই তাপমাত্রা ছিল বেশ চড়া। সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিল আর্দ্রতাও। তবে সকাল থেকেই বইছে মৃদুমন্দ হাওয়া। বেলা গড়াতেই দু-একপশালা ঝেঁপে বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায়। বাদ যায়নি জেলাও। আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রিয়েল ফিল পেরিয়েছে ৪০-এর কোঠা। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা দুইই আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করছিল, তা উত্তরবঙ্গের দিকে চলে গিয়েছে। ফলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় তাপমাত্রা একই রকম থাকবে বলেই জানিয়েছে তারা।
তবে বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তাতে অবশ্য গরমের বা অস্বস্তির বিশেষ হেরফের হবে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর আআবহাওয়া দফতর। তবে পুজোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনই এড়ানো যাচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।
তবে থেমে নেই বিশ্বকর্মা পুজো,এদিন বনগাঁর শিমুলতলায় মোবাই পুজো দিতেও দেখা গেল,উদ্যক্তা রাজার কথায়,এই যন্ত্রও তো বাবা বিশ্বকর্মারই দান,তাই আমরা অনেকেই মোবাইল ব্যাবহার করছিনা আজ কে৷ পুজোয় দেওয়া হয়েছে সমস্ত মোবাইল।