দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ শনিবার সন্ধে সাড়ে ছ’টায় যখন ঘূর্ণিঝড় ‘আই’ সাগরদ্বীপ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে, তখনই সুন্দরবন তছনছ করতে শুরু করেছিল বুলবুল। রাত যত বেড়েছে, ততই দাপট বেড়েছে ঝড়ের। শনিবার তছনছ করার পর রবিবার সকালে রাজ্য থেকে বিদায় নিল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল।
হাওয়া অফিস সূত্রের খবর অনুযায়ী , সোমবার রোদ ঝলমলে সকাল দেখা গেল। সেই সঙ্গে আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে রাতের তাপমাত্রাও ২-৩ ডিগ্রি কমবে। এর ফলে পাকাপাকিভাবে শীত এসে না পড়লেও ভোররাত ও সকালের দিকে শীত-শীত আমেজ থাকবে।
রবিবার দুপুরে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সহ-অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশের উপকূলের উপর অবস্থান করার পর শক্তিহীন হয়ে পড়ে। তবে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়েও উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র অল্পবিস্তর উত্তাল থাকবে। তাই আগামী ১২ ঘণ্টা মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সোমবার থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পুরোপুরি কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে সারা রাজ্যেই স্বাভাবিক আবহাওয়া থাকবে।
তবে শীত কবে আসবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। সোম-মঙ্গল তাপমাত্রা যে কমবে। বড় কোনও ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর বাতাসে জলীয় বাষ্প উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় বলে তাপমাত্রাও কমে যায়। পরে তা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে।
রবিবার সকাল থেকেই অবশ্য দুর্যোগ কেটে যাওয়ার আভাস স্পষ্ট হয়েছিল। আকাশে কালো মেঘের ওড়াউড়ি চলতে থাকলেও বৃষ্টি হয়েছে ছিটেফোঁটা। সন্ধ্যার দিকে কলকাতার আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়। নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক-দু’জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সোমবার ঝলমলে সকাল পেল বাংলা, ফের কর্ম ব্যাস্ত বাঙালি ছুটতে শুরু করল নিজের নিজের কাজে।