দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অ ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে যে এলাকাগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেখানে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ২৬ নভেম্বর থেকে স্কুলের প্রস্তাবিত পরীক্ষাগুলির দিন পিছিয়ে দেওয়া হবে। পিছিয়ে দেওয়া হবে মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার নির্ধারিত দিনও। সরকারি সূত্রে খবর, পরীক্ষার দিন ফেলা হতে পারে ২ ডিসেম্বর থেকে।
বৃহস্পতিবার শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়া ও তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বুলবুলের প্রভাবে যে সমস্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি, সেখানকার সমস্ত স্কুলে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হবে।
গত সপ্তাহের শেষেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাণ্ডব দেখিয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি। লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে দুই চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ। বাড়িঘর ভেঙেছে বহু মানুষের, চাষের জমি তছনছ হয়ে গেছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলায় তেমন প্রভাব না পড়লেও নাগাড়ে দু’দিন বৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। ঝড়ের তাণ্ডবের দিন মাঝরাত পর্যন্ত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দফায় দফায় বৈঠক করেছিলেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে।
রবিবার ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ৯টি জেলার জেলাশাসকদের কাছ থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট এসে পৌঁছয় নবান্নে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯ জেলায় ৩ লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজারের বেশি বাড়ি। গাছ উপড়েছে ৯ হাজার। মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়েছে ৯৫০টি। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
গত সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার আকাশপথে বসিরহাটের বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গোটা রাজ্যে প্রায় ১৫ লাখ হেক্টর জমিতে ফসল নষ্ট হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণাও করেছিলেন তিনি।