দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ একুশের নির্বাচনী লড়াইয়ের শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে বাংলা। আজ বাংলায় সপ্তম দফার ভোট। হাতে আর মাত্র এক দফা। তারপরই শেষ হবে একুশের মহাযুদ্ধ। এমন আবহে জয়ের ব্যাপারে আরও একবার আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গেল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সোমবার ভবানীপুরে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিয়ে অভিষেক বললেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী, তৃণমূলই জিতছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরছেন আবার। যা ভোট হয়েছে, তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়তে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’। উল্লেখ্য, নির্বাচনী সভায় জয়ের ব্যাপারে বারবার এই মন্তব্য শোনা গিয়েছে অভিষেকের গলায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও সংযোজন, আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী জেতার বিষয়ে। আশ্বস্ত করছি জিতে গেছি আমরা। সপ্তম দফা এবং অষ্টম দফায় আমরা আসন সংখ্যা আরও বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছি। বাংলার মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তাই কোনও চিন্তা নেই। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবিকে কটাক্ষ করছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতাদের দাবি, মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। এবারের ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে মানুষ যোগ্য জবাব দেবে। পিসি–ভাইপোর রাজত্ব এবার শেষ হবে। আর বিজেপি ক্ষমতায় এসে সোনার বাংলা গড়বে।
এদিকে, জেতার ব্যাপারে প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা যাচ্ছে পদ্মশিবিরেও। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি-ই সরকারে আসছে বলে দাবি করেছেন মোদী-শাহরা।
অন্যদিকে, করোনা আবহে বাংলায় এত দফায় ভোট নিয়ে এদিন ফের নির্বাচন কমিশনকে বিঁধলেন অভিষেক। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ বলেন, ‘ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী, তা বাংলার মানুষের কাছে আলোর মত পরিষ্কার। যেভাবে করোনা বাড়ছে, মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। কমিশনের এই ভূমিকা আজ পর্যন্ত দেখিনি। একটা রাজনৈতিক দলকে প্রচারের জায়গা করে দিতে এমনটা করছে।’
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে একদিকে, হ্যাটট্রিক করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের ‘অভূতপূর্ব সাফল্যে’র ধারা বজায় রেখে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে মরিয়া বিজেপি। তৃণমূল বনাম বিজেপি লড়াই হলেও নজর রয়েছে বাম-কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট জোটের দিকে। একুশের লড়াইয়ে বাংলার কুর্সি কার হাতে থাকবে? এর উত্তর মিলিয়ে নিতে আগামী ২ মে-র দিকে তাকিয়ে বঙ্গবাসী।