দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলার বিধানসভা নির্বাচন এবার আরও একটু জমজমাট। আজ, রবিবার শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত ঘোষণা করলেন, বাংলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শিবসেনা। তিনি জানান, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পরে পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই জানান, বিষয়টি চূড়ান্ত করতে খুব শীঘ্রই কলকাতায় আসছেন শিবসেনার নেতারা।
কয়েক দিন আগেই আইমিমের আসাদউদ্দিন ওয়াইসি কলকাতায় এসেছিলেন। তার আগেই অবশ্য খবর মিলেছিল, পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আসছে আইমিম। এই খবর পাওয়ার পরেই বাংলার রাজনীতি মহলে জেঁকে বসে ভোটের মেরুকরণের ভাবনা। এখন শিবসেনার নির্বাচনী লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার খবরে সে সম্ভাবনার আরও একটি অভিমুখ জোরদার হল।
এদিন টুইটারে সঞ্জয় লেখেন, “অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করার পরে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে আলোচনার পরেই ঠিক হয়েছে এটি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের ভোটে প্রার্থী দিচ্ছি। খুব শীঘ্রই কলকাতায় আসছি…। জয়হিন্দ, জয় বাংলা।” শেষের জয় বাংলাটি বাংলা অক্ষরেই টাইপ করেন সঞ্জয় রাউত।
So, here is the much awaited update.
— Sanjay Raut (@rautsanjay61) January 17, 2021
After discussions with Party Chief Shri Uddhav Thackeray, Shivsena has decided to contest the West Bengal Assembly Elections.
We are reaching Kolkata soon…!!
Jai Hind, জয় বাংলা !
এই ঘোষণায় প্রশ্ন উঠেছে, শিবসেনার বাংলায় সংগঠন কতটা জোরদার। আইমিমের ক্ষেত্রে যেমন একাধিক পকেট রয়েছে বাংলার নানা মুসলিম-অধ্যুষিত জায়গায়, সেরকম কি শিবসেনাও তলায় তলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে? এ কথা পরিষ্কার হবে শিবসেনা কলকাতায় এলে তবেই।
এখনও পর্যন্ত যতটা জানা গেছে, তাতে আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট সেরে ফেলতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার আগে কবে শিবসেনা আসছে, তা এখনও জানা যায়নি। এমনকি কতগুলি আসনে তারা প্রার্থী দিতে চলেছে, সে ব্যাপারেও ধোঁয়াশা রয়েছে পুরোপুরি।
শিবসেনার তরফে জানা গিয়েছে, বাংলার ১০০টি আসনে তারা প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছে। কোন কোন আসনে প্রার্থী দেওয়া হবে এবং নির্বাচনে দলের রণনীতি কী হবে, তা ঠিক করতে শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে আসার কথা রয়েছে উদ্ধব ঠাকরে, অনিল দেশমুখ ও সঞ্জয় রাউতের মতো শীর্ষ নেতাদের৷
একটি সূত্রের খবর, প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঠিক হয়েছে, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং অন্য জেলাগুলিতে প্রার্থী দেওয়া হবে। গুরুত্ব দেওয়া হব দমদম, ব্যারাকপুর, বিষ্ণুপুর এবং অন্য়ান্য জায়গাগুলিকে। এসব জায়গায় শিবেনার প্রভাব কতটা, তাই এখনও ভাবাচ্ছে অনেককে।