বিদ্যুৎ, কেব্‌ল,মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারীদের সর্তক করলেন মুখ্যমন্ত্রী

0
2211

দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিদ্যুৎ, কেব্‌ল, মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারীদের সর্তক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমপানের দুর্যোগের পরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি। মুখ্যমন্ত্রী বুধবার নবান্নে বলেন, ‘‌রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ আপ্রাণ চেষ্টা করছে কিন্তু যে সব জায়গায় কোমর–‌সমান জল দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

সাড়ে চার লক্ষ বিদ্যুৎখুঁটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবুও চেষ্টা করা হচ্ছে।’‌ বজবজ ২, ক্যানিং, বাসন্তীর একাংশ, জয়নগর, মথুরাপুর, কুলতলি, হাড়োয়া, বাদুড়িয়া, মহিষাদল, খেজুরির কিছু কিছু অংশ অন্ধকারে রয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়ে গিয়েছে। তিন–‌চারদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ এসে যাবে। এতদিনে এসে যেত কিন্তু জলের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গেলে কর্মীদের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন, স্থানীয় মানুষদের সাহায্য নিয়ে কীভাবে খুঁটি দাঁড় করানো যায় তার ব্যবস্থা করতে। বাকি কাজ বিদ্যুৎকর্মীরাই করবেন। পাশাপাশি রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ কীভাবে ব্যবসা বাড়াতে পারে, তার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। কীভাবে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের আওতায়–‌থাকা এলাকা বাড়ানো যায় তা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‌ডব্লিউবিএসিবি–কে  এক হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। ইতিমধ্যেই ঝড়ের ধাক্কায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে পর্ষদের।’‌

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসি–র উদ্দেশে বলেন, ‘‌এই সংস্থাকে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে আরও আধুনিকীকরণ করতে হবে। কর্তৃপক্ষের প্রতি তাঁর বার্তা— টেকনিক্যাল গ্রুপ বাড়াতে হবে। অনেক বড় এলাকা জুড়ে এই সংস্থা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। সেই তুলনায় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে।’‌


কেব্‌ল অপারেটরদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, কলকাতা শহরের বুকে যত্রতত্র তার ঝুলে থাকা চলবে না। 

আমপানের পর অনেকদিন কেটে গেছে। তবু বহু জায়গায় টিভির সংযোগ নেই। এটা চলবে না। এক বছরের মধ্যে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে মাটির তলা দিয়ে তার নিয়ে যেতে হবে। কেব্‌ল সংস্থার উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘‌আপনারা ব্যবসা করতে এসেছেন। ব্যবসা ভালভাবে করুন। 

কেন্দ্রকে রাজস্ব দেন। রাজ্যকে কিছুই দেন না। কলকাতা পুলিশের নগরপাল অনুজ শর্মা, প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম আপনাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আপনারা কথা শুনছেন না। শুধু ব্যবসা করলে হবে না। শহরটাকেও ভালবাসতে হবে। যেখানে–‌সেখানে তার ঝুলে থাকলে দেখতে ভাল লাগে না।’‌ ভোডাফোন ,এয়ারটেলসংস্থাকেও এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, ‌‘‌নেট পাওয়া যায় না, কথা বলা যায় না। এটা চলতে পারে না।’‌

Previous articleকেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সফরের আগে সমন্বয়ের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next articleসোশ্যাল মিডিয়া মুখ ঢেকেছে অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনী খুনের লজ্জায়!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here