দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গত ২৫ নভেম্বর মেচেদা রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। তার ২২ দিন পরেই ফের তৃণমূলে ফিরে এলেন নেতা। বললেন, ‘আমার ভুল আমি বুঝতে পেরেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই কাজ করতে চাই।’
এদিন তৃণমূল ভবনে সিরাজের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের নতুন সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র। সিরাজের হাতে পতাকা তুলে দিতে গিয়ে পার্থবাবু বলেন, “খুব ঘটা করে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সিরাজকে বিজেপিতে নিয়ে গিয়েছিল। আমরাও ঘটা করে সিরাজকে দলে ফিরিয়ে নিলাম।”
নিজের বক্তব্যে সিরাজ খান বলেন, “কিছু সমস্যা হচ্ছিল। তাই দল ছেড়েছিলাম। ভেবেছিলাম বিজেপিতে গিয়ে কাজ হবে। কিন্তু ওখানে সব বড় বড় নেতা। যে কাজের জন্য গিয়েছিলাম সেটাই হচ্ছিল না। আমরা ছোট নেতা। তৃণমূল গরীবের দল। তাই সেখানেই ফিরে এলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় কাজ করব।”
অবশ্য শতখানেক তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন সিরাজ। বলেছিলেন, “নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন অনগ্রসর শ্রেণির মুসলমানদের জন্য চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ করবেন। কিন্তু তা বাস্তবে হয়নি। সংখ্যালঘুদের ভুলিয়ে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি বুঝতে পেরেই দল ছেড়ে আসি।” তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পাঁচ বছরে তবু কিছু কাজ হয়েছিল কিন্তু দিদির দ্বিতীয় দফায় কোনও কাজ হয়নি।”
২২ দিনের মধ্যেই অবশ্য মানভঞ্জন হল এই সংখ্যালঘু নেতার।