দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শুক্রবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে প্রেস কনফারেন্সে ঘোষণা করেছিলেন ৮ জুন থেকে রাজ্যে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত অফিসে ১০০ শতাংশ কর্মী কাজ করতে পারবেন।
কিন্তু সেই ঘোষণা নিয়ে বিরোধীদের থেকে একাধিক প্রশ্ন তোলার পর, রাতে তা কিছুটা সংশোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। টুইট করে তিনি বলেছেন, রাজ্যে বহু রকমের সংকট তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা স্থির করেছি ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে আমরা কাজ করব। ত্রাণ ও মেরামতের কাজ এখন সরকারের অগ্রাধিকার। মানুষকে যাতে নিরন্তর পরিষেবা দেওয়া যায় তা এই বর্ধিত সংখ্যায় কর্মিবর্গ সুনিশ্চিত করবে।
With multiple crises in the state, we've decided to increase State Government workforce capacity from 50% to 70%. Continuation of restoration work is one of the top priorities & this workforce increase will ensure that public services are uninterrupted and unhindered. (1/3)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 29, 2020
অর্থাৎ বিকেলে ১০০ শতাংশ রাজ্য সরকারি কর্মচারীকে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বললেও রাতে তা শুধরে ৭০ শতাংশ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মীদের উদ্দেশে বলব, তাঁরা যতটা সম্ভব বাড়িতে বসেই কাজ করুন এবং নিরাপদে থাকুন। কোনও বেসরকারি সংস্থা তাদের কত জন কর্মীকে কাজে যোগ দিতে বলবে সেটা তাদের ব্যাপার।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এ কথা বলার অর্থ হল, কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইলে ১০০ শতাংশ কর্মীকেই কাজে ডাকতে পারে। আবার চাইলে ২০ শতাংশ কর্মী দিয়েও কাজ চালাতে পারে। সেটা তাদের ব্যাপার। সরকার এ নিয়ে কিছু বলবে না। মুখ্যমন্ত্রী রাতে যে টুইট করেছেন তাতে দিনক্ষণের কথা কিছু লেখেননি। ফলে মনে করা হচ্ছে ৮ জুন তারিখটি অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ দিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী যখন ঘোষণা করেন যে ৮ জুন থেকে সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত অফিসে ১০০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দিতে পারবেন, তখন বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন কর্মীরা অফিসে পৌঁছবেন কী ভাবে! লোকাল ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। বেসরকারি বাসও পুরোদমে চলছে না। ভাড়ার জটিলতায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা খুবই কম। তা হলে কর্মীরা অফিসে যাবেন, আসবেন কী ভাবে। আবার বামেরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে গিনিপিগ বানাতে চাইছেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা যদি করতেই হয়, তা হলে আগে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হোক।
এ সবের পরই মুখ্যমন্ত্রী রাতে টুইট করেন। তবে বিরোধীদের বক্তব্যের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত বদলের কোনও প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা জানা নেই।