দেশের সময়ওয়েবডেস্ক: হৃদরোগে মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত এক প্রৌঢ়ার। বারাসতের ওই বাসিন্দা হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে রুবি মোড়ের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা পজিটিভ ছিলেন ওই মহিলা। তাঁর মৃত্যুর পর মেয়ে, জামাই, এক পরিচারিকা ও ছেলেকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে বলে খবর।
হার্টের সমস্যা ও নিউমোনিয়া হওয়ায় গত ৩১ মার্চ ওই প্রৌঢ়াকে হলদিরামের কাছে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই সময়ও তাঁর করোনার পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। এরপর কিছুটা সুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল থেকে ১২ এপ্রিল তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়। ফিরে বারাসতের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেখানে মেয়ে, জামাই ও এক পরিচারিকা তাঁর দেখভাল করতেন। কিন্তু প্রৌঢ়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৮ এপ্রিল ফের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নতুন করে করোনা পরীক্ষা করা হয়। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগে রবিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর নোভেল করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জানা যায়, করোনা পজিটিভ ছিলেন তিনি।
করোনা পজিটিভ থাকায় প্রৌঢ়ার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি মেয়ে, জামাই, এক পরিচারিকা ও ছেলেকে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে মধ্যমগ্রামে করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। এবার জেলা সদর শহর বারাসতে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।