দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃদেশ জুড়ে ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এ রাজ্যেও। তবে, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় তা খুবই কম। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা অ্যাক্টিভের সংখ্যা ৫২২। অডিট কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, মৃতের সংখ্যা বাড়েনি। অর্থাৎ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ২০। মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, রাজ্যে করোনা-মুক্ত হয়েছেন ১১৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত যেমন হয়েছেন ২৮ জন, তেমনি করোনা-মুক্ত হয়ে ছাড়াও পেয়েছেন ১০ জন।
এদিন মুখ্যসচিব জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ১৩২২৩ জনের। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে ১১৮০টি টেস্ট। মুখ্যসচিব এদিন আরও বলেন, যে জেলা থেকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সেগুলি হল কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
গতকালই মুখ্যসচিব বলেছিলেন, ‘সারা ভারতের কোভিড হাসপাতালে ৭.৫ %-ই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গোটা দেশের অনুপাত ২ শতাংশের মতো।’ তিনি জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লক্ষ বাড়িতে সার্ভে করা হয়েছে। এদিন সেইসঙ্গে সংযোজন করেন, ‘করোনার মধ্যেও অন্যান্য সমস্যা তো কমে যায় না, তাই জীবনদায়ী ওষুধ যাতে বাজারে পাওয়া যায়, তার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’
এদিন তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত পিপিই দিয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ও এন৯৫ মাস্ক দিয়েছে ৩ লক্ষ। সোমবারই মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, বাংলায় ৯ দিনে করোনা রোগী দ্বিগুণ হচ্ছে। এটাও দেশের মধ্যে ভালো নজির। মুখ্যসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলার ৮ জেলায় করোনা সংক্রমণ নেই। রাজ্যের মোট ১৪টি ল্যাবে করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাজ্যে আইসোলেশন বেডও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এক নজরে : করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে মুখ্যসচিবের সাংবাদিক বৈঠক:
- গতকাল পর্যন্ত অ্যাকটিভ ছিল ৫০৪ জন।
- আজ রাজ্যে করোনা অ্যাকটিভ ৫২২ জন।
- গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ২৮ জন।
- গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ১০ জন।
- মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১৯ জন।
- গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২ জন।
- এখনও পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন।
- মোট স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে ১৩ হাজার ২২৩টি।
- ১১৮০টি শুধু গতকাল টেস্ট হয়েছে।
- সরকারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৩৮৮ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ৪৫১ জন।
- হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৬ হাজার ৫২ জন, গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২৫৭৭ জন।
- পিপিই দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষটি।
- এন ৯৫ মাস্ক দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষটি।