দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ যেমন পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছিল তেমনটাই হল। কলকাতা সহ রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসনের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন জানিয়ে দিল, কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে ফের কড়া লকডাউন করতে হবে। ৯ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে। কতদিন চলবে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
নবান্নের তরফে যে নির্দেশিকা জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কন্টেইনমেন্ট জোনে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি নয় এমন যে কোনও পরিষেবা বন্ধ থাকবে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে। তাছাড়া যে কোনও ধরনের জমায়েতে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শিল্প, ব্যবসা, মার্কেট বন্ধ থাকবে ৯ জুলাই বিকেল পাঁচটা থেকে। কন্টেইনমেন্ট জোনে যে কোনও ধরনের পরিবহণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নবান্ন।
ওই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কন্টেইনমেন্ট জোনের কেউ সরকারি বা বেসরকারি অফিসে কাজ করতে যেতে পারবেন না। তাঁদের যা দরকার স্থানীয় প্রশাসন তা বাড়িতে পৌঁছে দেবে। কলকাতার ক্ষেত্রে কোন কোন এলাকা কন্টেইনমেন্ট জোন হবে তা আলোচনা করে ঠিক করবে কলকাতা পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ। জেলার ক্ষদেত্রে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকাল, সোমবারই জানা গিয়েছিল কলকাতায় বেশ কিছু এলাকায় কড়া লকডাউন জারি হতে চলেছে। প্রশাসনের অনেকের মতে, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এ ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। গতকাল রাত থেকেই বাগবাজার, শরৎ বোস রোর্ড, এলগিন রোড-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয় সেই সব জায়গায় মাইকপ্রচার। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্য কিচ্ছু খোলা যাবে না এই সমস্ত এলাকায়। অর্থাৎ শুরুতে যে ধাঁচে লকডাউন হয়েছিল সেই একই ধাঁচে লকডাউন করার পথে হাঁটছে প্রশাসন।
গতকাল, সোমবারই জানা গিয়েছিল কলকাতায় বেশ কিছু এলাকায় কড়া লকডাউন জারি হতে চলেছে। প্রশাসনের অনেকের মতে, যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এ ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই। গতকাল রাত থেকেই বাগবাজার, শরৎ বোস রোর্ড, এলগিন রোড-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শুরু হয় সেই সব জায়গায় মাইকপ্রচার। বিকেলে দেখা গেল গোটা রাজ্যের জন্যই একই বিধি জারি করে দিল নবান্ন।