দেশের সময় ওয়েব ডেস্কঃ সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। একদিকে এই প্রতিবাদে জ্বলছে অসম। অগ্নিগর্ভ উত্তর–পূর্বের একাধিক রাজ্য। অন্যদিকে উচ্ছ্বাসের ঢেউ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু শরণার্থীদের মধ্যে। দিল্লির মজনু–কা–টিলা অঞ্চলের শরণার্থী আস্তানায় ঢাল–ঢোল পিটিয়ে চলছে আনন্দ উৎসব। কারণ এবার মিলবে নাগরিকত্ব। সেই একই ছবি দেখা গেল কর্নাটকের রায়চুর জেলায়।
জেলার সিন্ধানুর অঞ্চলের পাঁচটি শরণার্থী আস্তানায় কমপক্ষে ২০ হাজার হিন্দু শরণার্থী বসবাস করেন। ধর্মীয় নিপীরণের কারণে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। আবার কেউ কেউ ১৯৮৩ সালের পরও এসেছিলেন। এদেশে আসার পর তাঁদের স্থান দেওয়া হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু অনেকেই নাগরিকত্ব পাননি সেই সময়। ১৯৭৯ সাল থেকে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া চালুও হয়েছিল।
তাঁরা যাতে ভোটও দিতে পারেন, সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮৩ সালের পর সেই প্রক্রিয়াও আটকে যায়। এমনকি বহু মানুষের ভোটাধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে কিছু মানুষ এদেশের নাগরিকত্ব পেলেও অনেকেই পাননি। পালিয়ে শরণার্থীদের নেতা প্রসেন রপতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘এই অঞ্চলগুলিতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব নেই।
এমনকি আমারও নেই। সেই সময়ে যাঁরা যাঁরা নাগরিকত্বের নথি পেয়েছিলেন সরকারের কাছ থেকে, সেই নথিও হারিয়ে গিয়েছে। অদ্ভুতভাবে সেই নথির কোনও কপি সরকারের কাছেও নেই। ফলত তাঁদের নাগরিকত্বের কোনও প্রমাণও নেই। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হলে তাঁরাও নাগরিকত্বের জন্য নতুন করে আবেদন করতে পারবেন।