দেশের সময়, ওয়েব ডেস্কঃ বসিরহাট, বনগাঁ এবং ব্যারাকপুর সাব ডিভিশনে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করল প্রশাসন। যাতে কোনওরকম গুজব না ছড়ায় এবং কোনও অশান্তি না হয় সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত জেলা শাসকের। সমস্ত ইন্টারনেট সরবরাহকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন জেলা শাসক।
ভোট পরবর্তী হিংসায় বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বঙ্গের বিভিন্ন জেলা। তার মধ্যেই সবচেয়ে বেশিবার শিরোনামে এসেছে ভাটপাড়া এবং জগদ্দল। ভোট মিটে যাওয়ার দেড় মাস পড়েও অশান্ত ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। ভাটপাড়া, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া এলাকায় প্রত্যেকদিনই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবারও বোমাবাজি হয়েছে ভাটপাড়াতে।
নিত্যদিনের বোমাবাজি এবং প্রকাশ্যে গুলি চলায়, আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। অকালেই ঝরে গিয়েছে বেশ কয়েকটি তাজা প্রাণ। এমনকী বৃহস্পতিবারও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এ ধরণের ঘটনা ঘটলেই নিমেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে নানা। গুজব। আর তা থেকে ছড়ায় একটা ব্যাপক অশান্তি। তাই এ বার আগে থাকতেই সতর্ক প্রশাসন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যাতে গুজব না ছড়ায় এবং কোনও অশান্তি না হয় সে জন্যই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধন্ত নিয়েছেন জেলা শাসক।
কয়েকদিন আগেই অশান্তি রুখতে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সন্দেশখালিতেও। বসিরহাট মহকুমার একাধিক এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বসিরহাটে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়েও গুজব রুখতে টানা কয়েক সপ্তাহ ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।
তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে চলতি মাসের প্রথম দিকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালির ন্যজাটের হাটগাছি এলাকা। উদ্ধার হয়েছিল তিনজনের দেহ। তৃণমূলের দাবি তাদের ছ’জন কর্মী নিখোঁজ হয়েছিলেন। খুন করে দেহ লোপাট করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। পাল্টা বিজেপি নেতা মুকুল রায়ও নাম দিয়ে দাবি করেন পাঁচ বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূলের বাহিনী। এই অবস্থায় অশান্তি এড়াতে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।