দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর বুধবার বিশাল বিজয় মিছিল বের হল বনগাঁয়। যদিও এই বিজয় মিছিলে সাংসদ হিসেবে জয়ী শান্তনু ঠাকুর নিজে উপস্থিত না থাকায় সমালোচনার মুখে পড়তে হলো।
ভোটের অনেক আগে থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের বিশ্বাসে অটুট ছিল যে রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রের পাশাপাশি বনগাঁ কেন্দ্রেও তাদের বিপুল জয় হবে। কিন্তু গণনা শেষে গোটা পরিস্থিতি বদলে গেল। যে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় স্থানে ছিল সেই বিজেপি এবারে একদম প্রথম স্থানে। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর তৃণমূল প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুর কে এক লক্ষ ১১ হাজার এর বেশি ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হলেন।
ব্যাপক খুশি বিজেপি নেতৃত্ব । সেই জয়ের বার্তা পৌঁছে গেছে দিল্লী পর্যন্ত। শান্তনুকে কেন্দ্রের মন্ত্রী করা হতে পারে বলেও আলোচনা শোনা যাচ্ছে। যদিও সে ব্যাপারে আপাতত কোনো খবর নেই। এদিকে বুধবার বিকেলে বনগাঁ শহরে বিশাল বিজয় মিছিল করল বিজেপি নেতৃত্ব । বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডলের নেতৃত্বে এই বিশাল মিছিল বের হয় ।
মতিগঞ্জ এর জ্ঞানবিকাশিনীর মাঠ থেকে শুরু হয়ে মিছিল মতিগঞ্জ , রাখালদাস সেতু, যশোর রোড, কোর্ট রোড, স্কুল রোড, চাকদা রোড ঘুরে ফের মতিগঞ্জ এ শেষ হয় । গেরুয়া আবীর , গেরুয়া বেলুনে সাজিয়ে তোলা হয় এই বিজয় মিছিল । এই মিছিলে বনগাঁ ছাড়াও বাগদা , গোপালনগর , গাইঘাটা থেকেও প্রচুর বিজেপি কর্মী, সমর্থক যোগদান করেন। এদিকে যার উদ্দেশ্যে এই বিজয় মিছিল , সেই সদ্য জয়ী বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর নিজে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন না।
এই নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, জেতার পরেই আর দেখা মিলছে না শান্তনু ঠাকুর এর। ফলে তিনি মানুষের কাজ কি করবেন। এ ব্যাপারে শান্তনু ঠাকুর এর বক্তব্য , কাজের প্রয়োজনে এই মুহূর্তে আমি দিল্লিতে রয়েছি। আগামীকাল শপথ গ্রহণ । ফলে আমাকে এই মুহূর্তে দিল্লিতে থাকতেই হচ্ছে ।
আর বিরোধীদের এই সমালোচনার কোন মানেই হয়না। দিল্লি থেকে ঘুরে আমি ফের নিজের এলাকায় যাবো। আর তখন মানুষের কাজ করতে মানুষের পাশেই থাকবো।
বনগাঁর তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন ‘উনি আসলে আলালের ঘরের দুলাল’। ডুমুরের ফুল, বনগাঁর মানুষ আদতেও তাঁকে কাজের প্রয়োজনে পাবেন বলে মনে হয় না। যদিও শান্তনু ঠাকুর এই বিষয়ে স্পট করে জনিয়েছেন,বনগাঁর মানুষ তাঁকে ভরসা করেছেন।তাঁদের সেই ভরসার পূর্ণ মর্যাদা দেবেন তিনি,কাজের মধ্য দিয়ে ৷