দেশের সময় : বনগাঁয় এক তৃণমূল নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এবং তাঁকে পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়ানোর দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করে অবরোধ করল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। দেখুন ভিডিও:
বৃহ:স্পতিবার সকাল থেকে বনগাঁ থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন শতাধিক তৃণমূল কর্মীসমর্থকেরা পাশাপাশি বনগাঁ বাটা মোড়ে যশোর রোড অবরোধ শুরু হয়। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে চলে এই অবরোধ কর্মসূচি ৷
বিজেপির অভিযোগ এক জন দুঃস্কৃতিকে ছাড়ানোর জন্য বনগাঁকে স্তব্ধ করে সাধারণ মানুষের হয়রানি করে রাস্তা অবরোধ চলছে। এটা তৃণমূলের প্রাক্তন প্রশাসক বর্তমান প্রশাসকের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন প্রশাসক শংকর আঢ্য কে সরিয়ে গোপাল শেঠ কে দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূলের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। ধৃত তৃণমূল নেতা প্রশান্ত অধিকারী বনগাঁ পুরসভার ১নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল যুব সভাপতি, তিনি শংকর আঢ্যর অনুগামী বলেই পরিচিত৷ । তৃণমূল বাস ও টোটো, অটো শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে।পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে ,বুধবার রাত ১০ টা নাগাদ প্রশান্ত অধিকারী কে বাড়ি থেকে থানায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দীপঙ্কর ঘটক (বনগাঁ নিমতলা টোটো ইউনিয়নের কনভেনর) অভিযোগ করে বলেন, প্রশান্ত শষ্কর আঢ্যর অনুগামী এবং দলের একনিষ্ঠ কর্মী, তাঁকে কেন গ্রেফতার করল পুলিশ ,অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে আমরা পথ অবরোধ করেছি ৷ গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের শিকার হচ্ছে কর্মীরা, আগে কখনও বনগাঁয় এই ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই সুরচড়িয়ে বলতে থাকেন বনগাঁ পুরসভার নতুন প্রশাসক গোপাল শেঠের নির্দেশে প্রশান্ত কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, এর আগের প্রশাসক থাকাকালীন এই ধরনের ঘটেনি বনগাঁ শহরে৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা অমিত চক্রবর্তী কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে প্রশান্তর বিরুদ্ধে। গতকাল অমিত প্রশান্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল,তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রশান্তকে৷
এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, বনগাঁর তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। প্রাক্তন প্রশাসক শষ্কর আঢ্যর দীর্ঘদিনের অনুগামী দুস্কৃতি বলে এলাকায় পরিচিত প্রশান্তকে ছাড়ানোর জন্য রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে এটা মানুষ নেবেন না৷
অভিযোগ অস্বীকার করে পুরপ্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, শুনেছি এক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকে মারধরের অভিযোগে পুলিশ প্রশান্ত কে গ্রেফতার করেছে৷ এখানে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই, পুলিশ প্রশাসকের কাজ করছে৷আইন আইনের পথে চলবে,বিজেপি দলটাই ভ্যানিস হয়ে গেছে বাংলা থেকে, সেখানে বনগাঁয় কোন নেতা এখানে আছে বলে আমার জানা নেই৷
অভিযোগকারী অমিত চক্রবর্তী (তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা) বলেন দলের লোক এসে বাড়িতে হামলা চালাল এটা ভাবতেই মনে হচ্ছে,এরা আর যাই হোক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী নয়৷