দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আর কিছু সময়ের অপেক্ষা, কিছুসময পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহা হেলিকপ্টার যোগে কলকাতা থেকে বাঁকুড়া শহরে পৌঁছাবেন 11:10 নাগাদ। সেখান থেকে তাঁর কনভয় সরাসরি পৌঁছাবে পুয়াবাগানে। ঐ জায়গায় সিধু কানুর মূর্তিতে ১১.২০ নাগাদ মালা দিয়ে বাঁকুড়া সফর শুরু করবেন।
সেজে উঠেছে বাঁকুড়া শহর:
বিকেল ৫.৫ নাগাদ হেলিকপ্টার যোগে কলকাতা ফিরে যাবেন। বাঁকুড়া শহর জুড়ে এখন তারই সাজে সাজো রব। ষষ্ঠ মন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গোটা বাঁকুড়া শহরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে গেরুয়া পতাকা ও ফেস্টুনে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দল পর্যবেক্ষণ করছেন প্রতিটি সভাস্থল। বিভিন্ন মেশিন দিয়ে চলছে সভাস্থল চেকিং।
অমিত শাহ’র বাঁকুড়ার কর্মসূচি এক নজরে:
২ দিনের সফরে এবার শাহের গন্তব্য জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার রবীন্দ্র ভবনে রাঢ়বঙ্গের সাংগঠনিক জেলাগুলির বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। এর মাঝেই আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজও সারবেন তিনি। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার জ্যাোতি নগরে মতুয়া পরিবারে মধ্যাহ্নভোজের কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
কী কী কর্মসূচি রয়েছে?
তিনি বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে বেলা ১.২০ পর্যন্ত এক রাজনৈতিক বৈঠকে অংশ নেবেন।সেখানে রাঢ বঙ্গ জোনের দলীয় কার্যকর্তাদের সাথে মিলিত হবেন। এরপর বাঁকুড়া-১ ব্লকের চতুরডিহি গ্রামে একটি আদিবাসী পরিবারে গিয়ে দুপুরে খাবার খাবেন তিনি।আবার তিনি রবীন্দ্রভবনে ফিরে এসে আরেকপ্রস্থ বৈঠক করবেন।
বাঁকুড়ায় বিভীষণের বাড়িতে পাত পেড়ে ডাল-ভাত খাবেন অমিতশাহ:
সেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। স্বরাষ্ট্র ন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব বাঁকুড়ায়। তা সে বিরসা মুন্ডার মুর্তি যেখানে রয়েছে সেখানে হোক বা রবীন্দ্র ভবন, চতুরডিহি গ্রাম- সর্বত্রই শুরু হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের তৎপরতা।
এদিন সকাল থেকেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের তৎপরতাও চোখে পড়ার মতো। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি তদারকি করছেন নেতা-কর্মীরা সবাই। অমিত শাহ যে রাস্তায় ধরে যাতায়াত করবেন, সেই রাস্তাগুলি কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে দলীয় পতাকায়। একই তৎপরতা বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে। তাঁদের বাড়িতেই অমিত শাহ দুপুরের খাবার খাবেন। সেই বাড়ি এবং তার আশপাশ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। হাঁসদা পরিবার এখন তুমুল ব্যস্ত। বিভীষণ হাঁসদার পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আদিবাসী রীতি মেনে কলাপাতায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খেতে দেওয়া হবে গরম ভাত, ডাল, পোস্ত, চাটনি।
তাই এখন চলছে সাফ সুতরো করার কাজ। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে অমিত শাহর জন্য। তাঁদের মতো প্রান্তিক পরিবারের বাড়িতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসবেন, দুপুরের খাবার খাবেন, একথা ভাবলেই গর্বে বুক ভরে উঠছে, জানাচ্ছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
অমিত শাহর এই সফর রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। আদিবাসীদের ভোটের বড়সড় অংশ পেয়েছিল। তা অক্ষত রাখতে আদিবাসী গ্রামে মধ্যাহ্নভোজন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এদিন তা মানতে চাননি বিজেপির নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, বিজেপি সবার সঙ্গে রয়েছে। ফের সেই বার্তা দিতে এই সফর।