দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সতর্কবার্তার পরে ফের লাইভে মদন মিত্র।
লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক তৃণমূলের কোহিনুর।’’ একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাত্মা গাঁধী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতাজির সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, ‘‘আমি কেবলমাত্র দলের একজন পোষ্য এবং পাহারাদার।’’ অভিষেককে দলের অস্ত্র বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জানালেন, তিনি নির্দোষ। তবে লাইভে পার্থর হুঁশিয়ারির বিষয় টানেননি মদন। ঘুরিয়ে পার্থর দেওয়া সতর্কবার্তারই জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কামারহাটির বিধায়ক, এমনটাই মনে করছে তৃণমূলের একাংশ। এদিন তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে আমি একটা ছেঁড়া চটি পড়ে রাজনীতি করেছি। আমায় রাজনীতিতে এনেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আমার প্রথম বেল ক্যান্সেল হওয়ার সময় পার্থ আলিপুর জেলে গিয়ে হাউহাউ করে কেঁদেছিল। কল্যাণ আমার বন্ধু। আই অ্যাম এ পেট অ্যানিম্যাল অফ তৃণমূল কংগ্রেস।’
মদন আরও বলেন, ‘আমি দলের কারও বিপক্ষে নই। আমায় ত্রিপুরা–গোয়া পাঠানো হয়নি, তাই যাইনি। পাঠানো হলে যেতাম।’
উল্লেখ্য, শনিবার নেটমাধ্যমে দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে মুখ খোলেন মদন। তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে হয়তো অর্জুন সিংহও দলে এসে মুখপাত্র হয়ে যাবেন।’ এই বক্তব্যের পর মদনকে সতর্ক করে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। গত কয়েকদিন কল্যাণ–কুণাল বাকযুদ্ধে রাশ টানতে দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল মহাসচিব।
তারপরই মদনের ওই বক্তব্যের পর তাঁকেও সতর্ক করেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই এদিনের ফেসবুক লাইভ করেন মদন। লাইভে বলেন, ‘দ্রোনাচার্য এবং অর্জুন দু’পক্ষে ছিলেন। অর্জুনের প্রথম তীর দ্রোনাচার্যের পায়ের সামনে গেঁথেছিল। ওটা ছিল প্রণাম। আমি তৃণমূলের পোষা জীব। অভিষেক শুধু দলের সম্পদ নয়, হিরো। আমার কথায়–ব্যবহারে যদিও কেউ কষ্ট পায়, তাঁদের কড়জোরে ক্ষমা চাইছি। স্টপ দিস চ্যাপ্টার।’
রবিবার মদন বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কার্যালয়ে যাওয়া যায় না। অভিষেক এতই ব্যস্ত যে তাঁর কাছে আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা পৌঁছতে পারেন না। তপসিয়ার দলীয় কার্যালয় ভাঙা পড়েছে।’ এরপর পার্থকে কটাক্ষ করে মদন বলেছিলেন, ‘উনি যদি আমায় বলে দেন, ওঁর বাড়ির তলায় যে কনস্টেবল থাকেন, তাঁর কাছে অভিযোগ দিয়ে আসতে হবে, আমি সেখানেই দিয়ে আসব।’ এরপরই সতর্ক করা হয় কামারহাটির বিধায়ককে।
অন্যদিকে নেটমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ভাইরাল একাধিক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসা মদনের ছবি। গড়গড়ার নল হাতে বসা মদন। বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এদিন ওই ছবি পোস্ট করেন। যাকে কেন্দ্র করে মদনের রঙিন জীবন নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। এদিন ‘কালারফুল’ মদন আরও বলেন, ‘আমার বয়স ৬৮। আর আমার ইন্সটাগ্রামের ৬৮ শতাংশ অনুগামীই মহিলা।
বাচ্চা মেয়েরা কাছে এসে জড়িয়ে ছবি তোলে। ওইসব মেয়েরা আমার নাতনির মতো। আই ডোন্ট কেয়ার, বাড়ির লোকজনও কেয়ার করেনা। চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে। এরপর গেয়ে ওঠেন, যা খুশি ওরা বলে বলুক। মদনের দাবি, তিনি ফেসবুক করতে চাননা।
যেখানেই যান কয়েক’শো মেয়ে এসে তাঁকে ফেসবুক লাইভ করতে বলে। কিন্তু পার্টির কোনও সিদ্ধান্ত আমি অমান্য করি না।’ ফেসবুক লাইভে দল নিয়ে আর কথা বলবেন না, এই কথা দেননি মদন।
https://fb.watch/aBb1kCrf8T/