দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ শেষ দফার বৈঠকও ব্যর্থ। কর্মীদের ১২.৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধিকে দি ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন’ (আইবিএ) ‘পর্যাপ্ত’ মনে করলেও, কর্মী সংগঠনের নেতাদের তা মনে হয়নি। তাঁদের দাবি ছিল ২০ শতাংশ বৃদ্ধি। ফলে, আগামিকাল এবং পরশু অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ধর্মঘট হচ্ছেই। ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ৯টি ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের জোট ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস’ (ইউএফবিইউ)। বিভিন্ন শাখার পাশাপাশি এটিএম পরিষেবাও বন্ধ থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে বেতন বৃদ্ধির অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার ব্যাঙ্ককর্মী। তাঁরা অনেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করতে পারেন। দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই জানিয়েছে, তাদের কিছু দপ্তরে, শাখায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে।
১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আগামিকাল ৩১ জানুয়ারি বাজেট অধিবেশনের সূচনায় অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ হবে। এই সময়েই ধর্মঘটে ব্যাঙ্ক কর্মীরা। অর্থ মন্ত্রক এবং শ্রম দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ক কর্মচারী সংগঠনগুলোকে ধর্মঘট না করার কথা বোঝানো হয়েছিল। আইবিএ–র সঙ্গে আলোচনা করে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস’–এর প্রতিনিধিদের মতানৈক্য মিটিয়ে নিতে বলা হয়েছিল।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এআইবিইএ)–এর তরফে জানানো হয়েছে, আইবিএ আরও আলোচনা চেয়ে ধর্মঘট স্থগিত রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্টের তরফে তাঁদের দাবিদাওয়া মেটানোর আশ্বাস না পেয়ে, তাতে সম্মতি দেয়নি কর্মী সংগঠন।
২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলোর অন্য দাবির মধ্যে সপ্তাহে ২ দিন ছুটি, অন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে মূল বেতনের সঙ্গে বিশেষ অ্যালাওয়েন্স, নতুন পেনশন প্রকল্প রদ ইত্যাদি।
বেতন বৃদ্ধিতেই মূল জোর দিচ্ছেন ধর্মঘটীরা। তা পূরণ না হলে, ১১ মার্চ থেকে ৩ দিনের ধর্মঘট ডাকবেন তাঁরা। তাতেও কাজ না হলে, ১ এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট করবেন।