দেশের সময়, ওয়েবডেস্কঃ উত্তরবঙ্গ সফর শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার থেকে মূলত ডুয়ার্সের জেলায় তিনি রাজনৈতিক সভা করবেন। এছাড়া বেশ কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বৈঠক করার কথা রয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। গত সপ্তাহেই উত্তরকন্যা অভিযান করে বিজেপি। অভিযোগ সেই অভিযানে গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁদের কর্মী উলেন রায়ের। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি। বিজেপির ডাকা বনধে শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর ফ্লেক্স ছেঁড়ার অভিযোগ করা হয়। ফলে অভিযোগ আর পালটা অভিযোগে সরগরম হয়ে আছে উত্তরবঙ্গ। তারই মধ্যে রাজনৈতিক সভা করতে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে একটি রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য রাখবেন মমতা। এরপর বুধবার তিনি থাকবেন কোচবিহারে। তিনদিনের সফরে উত্তরবঙ্গে জুড়ে একাধিক রাজনৈতিক জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। একইসঙ্গে সোমবার বিকেলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার-এই দুই জেলাকে নিয়ে জলপাইগুড়িতে একটি রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর বুধবার তিনি থাকবেন কোচবিহারে। সেখানে রাসমেলা ময়দানে তাঁর একটি রাজনৈতিক জনসভা রয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দল ছেড়েছেন কোচবিহার জেলার বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কিছুদিন আগেই প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড বিধি মেনে উত্তরকন্যায় উত্তরের ৫ জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। জেলায় জেলায় সরকারি কাজ কতদূর এগোলো, উত্তরের জেলাগুলির কেমন অবস্থা, তা খতিয়ে দেখা এবং পর্যালোচনা করা সেই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল। কোভিড পরিস্থিতির আগে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতিতে জেলা সফর তিনি করেননি। যদিও নবান্ন থেকে প্রতিটি জেলার বিভিন্ন অবস্থা নিয়ে তিনি খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, জেলাশাসকরা যেন জরুরি বৈঠক সেরে প্রয়োজনীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন।
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে তিনি ফের জেলা সফর শুরু করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সফর শুরু হয়েছিল উত্তরবঙ্গ দিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে একাধিকবার তিনি উত্তরের বিভিন্ন জেলায় ছুটে গিয়েছেন। আগামী বছর নির্বাচন রাজ্যে। তার আগে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল সাংগঠনিক দিক থেকে কোমর বেঁধে নেমে পড়ার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফর তাঁর দলের কর্মীদের অনেক চাঙ্গা করবে। বিশেষ করে কোচবিহার জেলা যেখানে একাধিক অভিযোগ আসে। এছাড়া উত্তরের একাধিক জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও নানা সমস্যা তৈরি হয়। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উত্তরের জেলায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারে তাই এবার নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস।