দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ২০২০ সালে নির্বাচনই চাইছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট পদের ভোট হওয়ার কথা। তার মাত্র তিন মাস আগে ট্রাম্প ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টুইট করে ট্রাম্প এমন আশঙ্কা করেছেন যে, করোনা আবহে ‘মেল ইন ব্যালট’ পদ্ধতিতে ভোট হলে জালিয়াতি হতে পারে। তিনি বলেন, ইউনিভার্সাল মেল-ইন ভোটিং পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে এই নির্বাচনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে ত্রুটিপূর্ণ এবং প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচন হবে। তাতে অস্বস্তিতে পড়তে হবে আমেরিকাকে। তিনি চান যতদিন না দেশের মানুষ যথাযথ, সুরক্ষিত ও নিরাপদ ভাবে ভোট দিতে না পারছেন ততদিন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া উচিত।
মার্কিন সংবিধান অনুসারে ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইলেই কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারবেন না। এর জন্য চাই মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি। আমেরিকান সংবিধানে কোনও অবস্থাতেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নির্ধারিত সূচি বদলে দেওয়ার সংস্থান নেই। এক মাত্র সংবিধান সংশোধন করলেই সেটা সম্ভব আর তার জন্য রাজি হতে হবে মার্কিন কংগ্রেসকে।
নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ। এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটাররা যাতে সশরীরে উপস্থিত না হয়েই ভোট দিতে পারেন তার জন্য আমেরিকায় ‘মেল ইন ব্যালট’ ব্যবস্থায় ভোট করার দাবি উঠেছে। কিন্তু প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে মত দিয়ে এসেছেন ট্রাম্প। তাঁর বক্তব্য, এই ভাবে ভোট হলে তাতে জালিয়াতির সম্ভাবনা প্রবল।
With Universal Mail-In Voting (not Absentee Voting, which is good), 2020 will be the most INACCURATE & FRAUDULENT Election in history. It will be a great embarrassment to the USA. Delay the Election until people can properly, securely and safely vote???
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) July 30, 2020
তবে ট্রাম্প যে দাবি করছেন তাকে অজুহাত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, করোনা মোকাবিলায় যে ব্যর্থতা ট্রাম্প প্রশাসন দেখিয়েছে তার পরে নভেম্বরে নির্বাচন হলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় ফিরে আসা স্বপ্ন থেকে যাবে। আর তার জন্যই এখন ভোট এড়িয়ে যেতে চাইছেন তিনি। দেশে হওয়া সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্টেই সেই ইঙ্গিত মিলেছে। দেখা গিয়েছে ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা যেমন কমছে তেমনই বাড়ছে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা।