দেবন্বিতা চক্রবর্তী: বনগাঁ: প্রেমের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার টানে ছট্ পুজোয়, মুম্বাই থেকে চলে আসেন বনগাঁর সঞ্জনা ও পাপ্পু। বছর পাঁচেক আগে তাঁদের প্রেম শুরু হয়েছিল ইছামতীর তীরে ছট্ পুজোর দিনে । তাদের কথায় এই পুজো প্রাঙ্গ নেই প্রথম দেখা ও আলাপ এরপর এক বছরের টানটান প্রেম আর একদিন সঞ্জনা পাপ্পুর টানে বনগাঁ থেকে ট্রেন ধরে চলে যায় মুম্বাই ,সেখানে কর্মসুত্রে অপেক্ষারত পাপ্পু যাদব স্থানীয় মন্দিরে বিয়ে করেন সঞ্জনাকে৷ ,তারপর থেকেই মুম্বাই মুলুকে। কর্মসূত্রে সজ্ঞনার স্বামী পাপ্পু যাদব সেখানেই থাকেন।বিয়ের পর আপাতত একবারও বাদ পড়েনি ছট্পুজোয় বনগাঁয় আসা।
বনগাঁ স্টেশন এলাকায় তাঁর বাড়ি। বাবা বিরেশ জয়সওয়াল প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মায়ের সঙ্গে পূজা বসে গেছেন ঠেকুয়া তৈরির কাজে। তিনি জানান, ‘ছোট থেকে বনগাঁর ছট্ পুজো দেখে এসেছি। মুম্বাইতে যেখানেই থাকি না কেন, ছট্ পুজোয় শরীর সঙ্গ দিলে ছুটে আসবই। এই সময়ে পরিবারের সকলের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। ছট্ পুজোই আমাদের উৎসব। মুম্বাইতে তো ইছামতী নদী নেই, তাছাড়া এই নদী আমাদের দুজন কে মিলিয়ে দিয়েছে,তাই ছট্ পুজোতে বাইরে মন টেকে না। এক সপ্তাহ আগেই আমরা চলে এসেছি।’
এদিন দুপুরের পর সূর্যপ্রণামে যান বনগাঁ থানার ঘাটে। বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে ইছামতীর তীরে প্যান্ডেল খাটিয়ে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সজ্ঞনা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে জলে নেমে প্রথা মেনে সূর্যপ্রণামে অংশ নিলেন, প্রণাম সেরে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে ইশারায় যেন বললেন,ফি-বছর আবার আসব।