দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইতিমধ্যেই কলকাতায় পুরভোট নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে রাজ্য প্রশাসন চায় এপ্রিলেই হোক পুরভোট। সেই মতো, ১২ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়ায় আর বাকি পুরসভায় দু’সপ্তাহ পর অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল হতে পারে ভোটগ্রহণ। তবে সেটা চাইছে না রাজ্য বিজেপি।
এদিন মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপি প্রতিনিধি যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে। বিজেপির দাবি, বিভিন্ন রাজ্যে পরীক্ষা চলবে আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত। সেই সময়ে মাইক ব্যবহার করা যাবে না। সেই হিসেবে ১২ এপ্রিল ভোট হলে পরীক্ষা শেষের পরে মাইক প্রচার শুরু করলেও বিশেষ সময় পাওয়া যাবে না।
আইন অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সহমতের ভিত্তিতে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হয়। বিজেপির দাবি, রাজ্য সরকার বিরোধীরা যাতে প্রচারের সুযোগ কম পায় সেই কারণেই ভোটের এমন দিনক্ষণ ঠিক করার কথা ভাবছে। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করলেও রাজ্য বিজেপি চাইছে সব দলের সহমতের ভিত্তিতে তৈরি হোক নির্ঘণ্ট।
কিছুদিন আগেই সেই দাবি তুলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অন্যান্য দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য সরকার নির্বাচনের দিন ঠিক করুক। তবে সেই সম্ভাবনা কম। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেছে বলেই খবর। এবার সেই দিন পিছনোর দাবি তুলল বিজেপি।
এদিন মুকুল রায়ের এই দাবিকে অবশ্য অজুহাত বলে মনে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা তথা রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনে পরাজয় বুঝেই এই দাবি বিজেপির।