দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি যতই আক্রমণ করুক না কেন, প্রাণ বাজি রেখেও ত্রিপুরা জেতার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এ দিন আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠকে বিপ্লব দেব সরকারের উদ্দেশে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ‘হয় মরব, নয় বাঁচব৷ কিন্তু জিতে রাজ্য ছাড়ব৷’ একই সঙ্গে অভিষেক ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেছেন, ‘ল্যাজে গোবরে করে সুপ্রিম কোর্টে হারাব। টানতে টানতে নিয়ে যাব।’এদিন আগরতলার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে অভিষেক আরও বলেন, আপনারা ভোটটা দিতে যান। দরকার হলে হাতে পদ্মফুল, নরেন্দ্র মোদীর ছবি নিয়ে বিজেপি জিন্দাবাদ বলতে বলতে ভোট দিতে যান। ভোটটা জোড়াফুলে দিন তারপর আবার বিজেপি জিন্দাবাদ বলতে বলতে বাড়ি চলে যান।
গতকাল থেকেই ত্রিপুরায় রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে পৌঁছেছে৷ ত্রিপুরায় গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সায়নী ঘোষ ৷ বিজেপি-র বিরুদ্ধে বার বার আক্রমণের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল৷ এমন কি, থানাতেও তৃণমূল নেতাদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে৷ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতিও দেয়নি প্রশাসন৷
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরায় পুরসভা ভোট। ওইদিন বিজেপি যদি সন্ত্রাস করে, ভোট না দিতে দেয় তার জন্য ত্রিপুরার মানুষকে আগাম কৌশল বলে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ।
তৃণমূল তৈরি হওয়ার পরের কথা মনে পড়ে? সিপিএমের তখন দোর্দণ্ডপ্রতাপ বাংলায়। সেবার ভোটে দিদির স্লোগান ছিল, চুপচাপ-ফুলে ছাপ। একুশে ত্রিপুরায় দাঁড়িয়ে অবিকল সেই স্লোগান না দিলেও খানিকটা সেই ছকেই বিজেপির চোখে ধুলো দিয়ে মানুষকে বুথমুখী করার কথা বললেন অভিষেক।
এদিন অভিষেক ত্রিপুরাবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা সাহস করে মাথা তুলুন। আমরা সমস্ত আঘাত মাথা পেতে নেব। খেয়াল রাখুন, বিপ্লব দেবের গুণ্ডাবাহিনী যেন অধিকার না কড়তে পারে। একটা ভোট ঠিক করবে ত্রিপুরার ভবিষ্যত। যে, দুয়ারে হেলমেট পরা গুণ্ডা বাহিনী থাকবে নাকি মমতার নবরত্ন।” অভিষেক এদিন বারবার বলেন, সুপ্রিম কোর্ট ভর্ৎসনা করার পরেও ত্রিপুরা সরকার নিজেদের বদল করেনি। শীর্ষ আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে।
এ ব্যাপারে ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, এখানে কোনও মানুষকে হাতে মোদীজির ছবি নিয়ে বুথে যেতে হবে না। কারণ তাঁদের মনের মধ্যে রয়েছে বিজেপি। অভিষেক যতই সিনেমার চিত্রনাট্যের কথা আওড়ান না কেন, তৃণমূলকে শূন্য হাতেই ফিরতে হবে।
অভিষেক বলেন, ‘যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে রাজ্য চলছে। তাতে দিনের আলোয় মানুষের বেরনো মুশকিল হয়ে গিয়েছে। এমন নৈরাজ্য, বাতাবরণ করা হয়েছে যা দেখা যায়নি। পুলিশের সামনে থানায় আক্রমণ হচ্ছে। আর পুলিশ নীরব দর্শক। আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন।
বিপ্লব দেবের দুয়ারে গুন্ডার মস্তানরা আমাদের কর্মীদের নির্মম ভাবে পিটিয়েছে, হাসপাতালেও মেরেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও এই রাজনৈতিক দল হিংসা বাড়াচ্ছে। আসলে পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। আজ ফের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত তা গ্রহণও করেছে, আগামীকাল শুনানি।