পদ্ম ফুলের আদলে টার্মিনাল , নবি মুম্বই বিমানবন্দরের আজ উদ্বোধন করবেন মোদী

0
4

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ, ৮ অক্টোবর, বুধবার উদ্বোধন করবেন নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের । তবে এ দিন বিমানবন্দরের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হবে। এই বিমানবন্দরটি উদ্বোধন হলে শুধুমাত্র মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের  উপর চাপ কমবে না, বরং পশ্চিম ভারতের বিমান চলাচলের মানচিত্রেরও অনেকটাই বদল ঘটবে বলে অনেকে মনে করছে।

আন্তর্জাতিক মাইল ফলকের এক অন্যতম দিশারী হয়ে উঠবে এই বিমানবন্দর। লন্ডন, নিউইয়র্ক এবং টোকিওর পর একাধিক বিমানবন্দর বিশিষ্ট শহর হিসেবে নাম লেখাতে চলেছে নবি মুম্বই। প্রায় কাজ শেষ হয়ে আসা এই বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিকভাবে উড়ান চালু হয়ে যাবে ডিসেম্বরের মধ্যে।

নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর  উদ্বোধন ছাড়াও এদিনই মুম্বই মেট্রো লাইন–৩-এর নতুন ধাপ চালু এবং ‘মুম্বই ওয়ান’ মোবিলিটি অ্যাপের উদ্বোধন করবেন মোদী। একনজরে দেখা নেওয়া যাক এই বিমানবন্দরের বৈশিষ্ট্য।

নবি মুম্বই হল দেশের প্রথম সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল বিমানবন্দর। যেখানে ডিজিটালি প্রি-বুকিং গাড়ি পার্কিং স্লট থাকবে। একইসঙ্গে অনলাইন ব্যাগেজ ড্রপ ও অভিবাসন পরিষেবাও ডিজিটালি হবে। এটি একটি সম্পূর্ণ অটোমেটেড, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই যুক্ত বিমানবন্দর।

১,১৬০ হেক্টরের এই বিমানবন্দর বছরে প্রায় ২ কোটি যাত্রী চলাচলের উপযুক্ত করে গড়া হয়েছে। একটি রানওয়ে দিয়েই প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করবে। সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর বছরে ১৫.৫ কোটি যাত্রী চলাচলের উপযুক্ত হয়ে যাবে। তখন চারটি টার্মিনাল ও ২টি রানওয়ে কাজ শুরু করবে।

বিমানবন্দরটি আদানি গোষ্ঠীর সহায়তায় ১৯,৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। চারটি টার্মিনাল তৈরির কাজ শেষ হলে বিমানবন্দর তৈরির খরচ ১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এটি দেশের বৃহত্তম গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর প্রকল্প, যা পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে গড়ে তোলা হয়েছে। এটি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে মিলিতভাবে মুম্বইয়ের বিমান চলাচলের চাপ হ্রাস করবে।

বিমানবন্দরে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে—৪৭ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা, টেকসই এভিয়েশন ফুয়েল (SAF)-এর জন্য স্টোরেজ, এবং বৈদ্যুতিক বাস পরিষেবা। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি হবে ভারতের প্রথম বিমানবন্দর, যেখানে জলপথে (ওয়াটার ট্যাক্সি) যাত্রী আগমন ও গমন সম্ভব হবে।

এই বিমানবন্দর তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে আদানি গ্রুপ। তাদের হাতেই থাকবে নবি মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৭৪ শতাংশ দাবি। বাকি ২৬ শতাংশ রয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারের ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি সিডকো-র হাতে।

এই এয়ারপোর্টের বার্ষিক কার্গো ক্যাপাসিটি হবে ৩২.৫ লক্ষ মেট্রিক টন। আগামিদিনে এই এয়ারপোর্ট এশিয়ার বৃহত্তম অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

Previous articleLakshmi Puja in Nadia 2025: দুর্গাপুজোও হার মানবে দরাপপুরের লক্ষ্মীপুজোর কাছে!বারোয়ারি আয়োজনে চলে লক্ষ্মীর আরাধনা , বাংলাদেশের ঢাকাতেই এই পুজোর সূত্রপাত : দেখুন ভিডিও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here