দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ প্রি-ওয়েডিং শ্যুট হালফিলের ট্রেন্ড। কিন্তু এসব নাকি সংস্কার বিরোধী। তাই প্রি-ওয়াডিং শ্যুট নিষিদ্ধ করতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। গুজরাতি, জৈন এবং সিন্ধি সম্প্রদায়ের জন্য ভোপালে নিষিদ্ধ হতে চলেছে প্রি-ওয়েডিং শ্যুট। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশের জনসংযোগ (public relation) মন্ত্রী পিসি শর্মা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে পিসি শর্মা জানিয়েছেন, “এইসব আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। আমি বিশ্বাস করি কোনও কিছু নিষিদ্ধ করা হলে তাঁর পিছনে একটি সামাজিক কারণ থাকে। মানুষ যদি আবার আমাদের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের পুরনো ট্রেন্ড অনুসরণ করা শুরু করেন তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আরও আনন্দের এবং সফল হবে।”
আচমকাই সরকারের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক মধ্যপ্রদেশের গুজরাতি, জৈন এবং সিন্ধি সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। কিন্তু আবাক হয়ে লাভ নেই। কারণ রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে যে পরিবার এই সিদ্ধান্র মেনে চলবে না সমাজে তাদের একঘরে করে দেওয়া হবে। গুজরাতি সমাজের জেনারেল সেক্রেটারি সঞ্জয় পাটেলের কথায়, প্রি-ওয়েডিং শ্যুট একটা ভুল কনসেপ্ট। তিনি আরও বলেন যে এইসবের জন্যেই কার্যত বৈবাহিক সম্পর্ক শুরুর আগেই ভেঙে যায়। তাই ঠিক করা হয়েছে যে এই ট্র্যাডিশন নিষিদ্ধ করা হবে।
প্রি-ওয়েডিং শ্যুট নিষিদ্ধ করার বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছে জৈন সম্প্রদায়ও। ভোপালের জৈন সমাজের প্রেসিডেন্ট প্রমোদ হিমাংশু জানিয়েছে তাঁদের আধ্যাত্মিক গুরু বলেছেন প্রি-ওয়েডিং অত্যন্ত অশ্লীল বিষয়। এরপরেই এই প্রথা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ভোপালের সিন্ধি কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট ভগবান দাস ইসরানিও জানিয়েছেন, প্রি-ওয়েডিং নিষিদ্ধ করার কথা ইতিমধ্যেই তাঁদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এধরনের ঘটনা দেশে প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ের সিন্ধি এবং মাহেশ্বরী সম্প্রদায়ও প্রি-ওয়েডিং শ্যুট নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল।