দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ষষ্ঠীতেই মনখারাপের খবর। সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। পুজোর ক’দিন বৃষ্টিতে কাটবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দপ্তরের। নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছাকাছি আসছে। অভিমুখ বাংলাদেশ।
মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপের অভিমুখ ছিল অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। কিন্তু স্থলভাগে না ঢুকে সেটি অভিমুখ পরিবর্তন করে আরও শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এবার এটি ওডিশা–পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোবে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছাকাছি এসে এটি অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর ফলে সমুদ্র উত্তাল হবে। বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
নিম্নচাপের জেরে সপ্তমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। একই অবস্থা চলেতে পারে অষ্টমী পর্যন্ত,সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হতে পারে মণ্ডপ। আজ থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্র ও শনিবার ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা, হাওড়া ও হুগলিতে। সর্বোচ্চ ৫০–৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই ঝড়বৃষ্টির ফলে কলকাতা সহ হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশ কিছু জায়গায় জলমগ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা। আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শস্যের ক্ষতিও হতে পারে দুর্যোগের ধাক্কায়৷
২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামী শুক্র ও শনিবার সুন্দরবনের ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। পর্যটকদের জন্য রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত দিঘা, মন্দারমণি, বকখালি প্রভৃতি অঞ্চলে সমুদ্রের ধারে যেতে নিষেধ করা হয়েছে সবাইকে।