দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে এ মাসেই রাজ্যে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তার আগেই এই আইনের ‘বিপদ’ বোঝাতে বনগাঁ মহকুমায় তিনটি প্রচার কর্মসূচি নিল তৃণমূল। বনগাঁ, জেলা দলের কোঅর্ডিনেটর নির্মল ঘোষ জানিয়েছেন, সমশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হলে যে সকলের নাগরিকত্ব চলে যাবে তা বোঝাতেই এই কর্মসূচি।
নাগরিকত্ব আইন তৈরি হওয়ার পর তা নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ ছিল মতুয়াদের একাংশের মধ্যে। তা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৩০ জানুয়ারি বনগাঁয় আসার কথা শাহের। বিজেপি সূত্রে খবর, সেখানেই একটি জনসভা করে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা স্পষ্ট করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার আগে ২২ জানুয়ারি তিনটি জায়গায় প্রচার কর্মসূচিতে নেমে পড়ছে তৃণমূল।
লোকসভা ভোটে হাতছাড়া মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ ও রানাঘাটে ইতিমধ্যেই সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দল ও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি। এ বার দলের তরফে স্থানীয় স্তরে এই কর্মসূচিতে নামছেন জেলার মন্ত্রী, দলীয় সাংসদ ও বিধায়কেরা। নির্মলবাবুর কথায়, দলের বিধায়ক ও সাংসদরা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এই তিনটি জায়গায় সারা দিন থাকবেন। নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও মতুয়াদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিয়েও সবিস্তার আলোচনা হবে সেখানে।
২০১৬ সালে বিধানসভা ও গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের এখানে ভরাডুবি হয়েছে। ক্ষত সামাল দিতে ইদানীং তৎপরতা চোখে পড়ছে তৃণমূল শিবিরে। সময় প্রচুর দিচ্ছেন দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ৷ গোপাল বাবু মতুয়াদের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়কে বোঝাতে শুরু করার পাশাপাশি মতুয়া মনকে তৃণমূল শিবিরে বেঁধে রাখতে দিন-রাত ছুটছেন বনগাঁ খেকে বাগদা-গাইঘাটার মতুয়া পাড়ায়।
বাগদার বিধায়ক দুলাল বর বলেন মতুয়ারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই আর বিশ্বাস করেন না, সেখানে ওই দলের দালালদের কথা কেউ শুনবে না, কারণ মতুয়ারা বুঝে গেছেন তাঁদের পাশে মোদী আছেন,কেন্দ্র কিছু না দিলে এরা কি ভাবে দেবে তাই তাঁদের ভরসা কেন্দ্রেই৷ এবার মাতুয়ারাই তাড়া করবে তাঁদেরকে ভুল বোঝালে।
মতুয়া ভোট এখানে গুরুত্বপূর্ণ বরাবরই। মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতরে শেষমেশ মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক কোন দিকে ঝোঁকে, তার উপরেও নির্ভর করবে ভোটের ফল।