দেশেরসময়: সোমবার দিল্লিতে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি তৈরির জন্য বিরোধী দলগুলিকে ডেকেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেখানে অনুপস্থিত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও ডিএমকে। এর পরেই নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন বললেন, বিরোধীরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হতে পারেন, আন্দোলন সফল হবে না।
তাঁর কথায়, “ঐক্যবদ্ধ হলে প্রতিবাদ করা সহজতর হয়। যদি ঐক্য না থাকে প্রতিবাদে কাজ হয় না। তবে ঐক্য না হলেও প্রতিবাদ বন্ধ হওয়া উচিত নয়।”
কলকাতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নোবেলজয়ী বলেন, “যদি ন্যায়সঙ্গত কারণে বিক্ষোভ হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। কিন্তু যদি ঐক্য নাও হয়, প্রতিবাদ থামানো উচিত হবে না।”
কংগ্রেস নেতা শশী তারুর তাঁকে সমর্থনে টুইট করেন, “অমর্ত্যজি ইজ রাইট। বিরোধী দলগুলি জাতীয় ইস্যুতে একমত। কিন্তু রাজ্যের নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে গুরুতর মতভেদ আছে। তাদের কোনও মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ করা মুশকিল। তারা আঞ্চলিক স্বার্থকে আগে স্থান দেয়। সেজন্যই বিজেপি ৩৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে।”
Amartyaji is right. The problem is that the Opposition parties are agreed on national issues, but divided in their various states. This is why it is difficult to assemble all of them on a common platform or front; they tend to put their local interests first. So BJP wins w/ 37%. https://t.co/94JUCfTBNY
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) January 13, 2020
অমর্ত্য সেন আগেই বলেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধান বিরোধী। ১১ ডিসেম্বর সংসদে ওই আইন পাশ হয়। তার পরেই দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে যাঁরা ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।