দেশের সময় ওযেবডেস্কঃ বুধবার পুনর্গঠিত তফসিলি অ্যাডাভাইজারি কাউন্সিলের সভায় যোগ দিতে নবান্নে এসেছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর । তখনই দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মমতাবালা ঠাকুরের শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মতুয়া মহাসঙ্ঘের অন্যতম কর্ণধার মমতাবালাকে জিজ্ঞাসা করেন, তোমার শরীর কেমন আছে? জবাবে বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ বলেন, “এখন একটু ঠিক আছি দিদি। আমার তো কোভিড হল। তারপর হাত ভাঙল!”
মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, কোন হাত ভেঙেছিল? মমতাবালা বলেন, ডান হাত। তখনই হাসি হাসি মুখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাক এই সুযোগে বাঁ হাতটা অ্যাকটিভ হয়ে গেল!”
গত লোকসভায় মমতাবালাকেই বনগাঁয় প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ভাসুরপো শান্তনু ঠাকুরের কাছে হারতে হয় জেঠিমা মমতাবালাকে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে মমতাবালা জানিয়েছেন, তিনি এলাকায় ঘুরছেন। দলপতি, গোঁসাইদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। মমতাও তাঁকে বলেন, ভাল থাকো এবং এলাকা দেখে রাখো।
মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া বিজেপির অনেক দিনের প্রতিশ্রুতি। একুশের ভোটের আগে এসেও সে কথা বলে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সিএএ কার্যকর করায় গয়ংগচ্ছ মনোভাব নিয়ে এক সময়ে মোদী সরকারের প্রতি বিরক্তিও প্রকাশ করেছিলেন শান্তনু। মাস দুয়েক আগে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে শান্তনুকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করেন মোদী। অনেকে বলেন, শান্তনুর মান ভাঙাতেই তাঁকে মন্ত্রী করেছেন মোদী।
এদিন নাগরিক্ত্ব দেওয়ার বিজেপির প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফের একবার সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মতুয়ারা ভোট দেন, চাকরি করেন, জমিজায়গা রয়েছে, পড়াশোনা করেন। তাঁরা তো নাগরিকই। আবার নতুন করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কী আছে?” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “গত বিশ-তিরিশ বছর ধরে বড় মাকে কে দেখেছিল? এরা কেউ যায়নি। আমি যেতাম।”