দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের তেখালির মাঠে ভাষণ দিতে গিয়ে চমকে দেওয়া ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর রাত পোহাতে পারেনি, নন্দীগ্রামে শুরু হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর নামে দেওয়াল লেখা। যেন ক্ষেত্র প্রস্তত ছিল, যুদ্ধটাই যা শুরু হওয়া বাকি। কিন্তু এবার নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসরে নামা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লেখা শুরু হল বাঁকুড়ায়।
বুধবার সকালে দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা সপারিষদ মিছিল করে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু করেন। শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিনেমা রোডে ঘাস ফুল প্রতীক সহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হয়। আর তাই নিয়েই জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে প্রার্থী হবেন, তাহলে বাঁকুড়ায় কেন তাঁর সমর্থনে দেওয়াল লিখন! এ নিয়েই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
নন্দীগ্রামের প্রার্থীর নামে কেন বাঁকুড়ায় দেওয়াল লিখন সে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাঢ় বঙ্গ জোনাল কমিটির অবজার্ভার পার্থ কুণ্ডু। আবার নিজেই তার উত্তর দিলেন। বললেন, ‘‘ওঁনার গুড বুকে থাকতে ও তাঁকে তেল মারার জন্যই এখানকার নেতারা এসব করছেন। এই দেওয়াল লিখনে জেলায় কোনও প্রভাব পড়বে না, মানুষ জানে পুরো বিষয়টি ‘ভাঁওতাবাজি’।’’
অন্যদিকে নিজেদের দেওয়াল লিখনের সমর্থনে বলতে গিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বললেন, ‘‘জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা বাংলারই প্রার্থী। এই ধরণের দেওয়াল লিখন বাঁকুড়া বা নন্দীগ্রাম নয়, সারা বাংলা জুড়েই হবে।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বরাবর বলে এসেছেন রাজ্যের ২৯৪টা আসনেই তিনিই প্রার্থী। এবারও তিনি বলেছেন ‘‘আপনারা কাজটা করে দেবেন। কারণ আমায় তো ২৯৪টি কেন্দ্রে লড়তে হবে। ভোটের পর আমি সব করে দেব।’’
নেত্রীর এই বক্তব্য যে আসলে কথার কথা নয়, তা প্রমাণ করে দিলেন দলে তাঁর সহকর্মীরা। নেত্রীর সমর্থনে অন্য জেলায় দেওয়াল লিখে।