নন্দীগ্রামে তুমুল উত্তেজনা, তৃণমূল-বিজেপি ধস্তাধস্তি, বিক্ষোভ

0
1399

দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত বাংলা। নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে সকালে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। বুধবার বিরুলিয়া বাজারেই আহত হন মুখ্যমন্ত্রী। আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তাঁরা ঘটনাস্থল ছাড়ার পরই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয় বলে জানা যাচ্ছে।

উত্তেজনার পারদ টগবগ করে ফুটছিলই। আজ সকাল হতেই বিস্ফোরণটা হয়। তুমুল ঝামেলা শুরু হয়েছে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার এলাকায়। গতকাল এখানেই একটি মন্দির থেকে বেরিয়ে পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ইচ্ছা করে ধাক্কা মেরে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক। তারপরেই তৃণমূল ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
শুরুতে বচসা, তারপরে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূলের পোঁতা খুঁটিতেই ধাক্কা লেগে আঘাত পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এই দাবি তুলে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অন্যদিকে, তৃণমূলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর ওপরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। গোটাটাই ষড়যন্ত্র।

বুধবার সকালে হলদিয়ায় গিয়ে মনোনয়ন পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর বিকেলে নন্দীগ্রামে ফিরে মন্দিরে মন্দিরে ঘুরে পুজো দিচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় তিনি ছিলেন নন্দীগ্রাম দুনম্বর ব্লকে রেয়াপাড়ায় শিব মন্দিরে গিয়েছিলেন। গাড়িতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, মন্দির থেকে বেরোনোর সময় তাঁকে পিছন থেকে কেউ বা কারা ধাক্কা মারেন। ইচ্ছা করে ধাক্কা মারা হয় বলে দাবি তাঁর। অনেক লোকজন সেখানে ছিল ঠিকই। কিন্তু তার মধ্যে থেকেই চক্রান্ত করে তাঁকে ধাক্কা মারা হয়। তাতে তিনি পড়ে যান। তাঁর পায়ে চোট লেগেছে। পা ছড়ে গিয়েছে। ফুলেও গেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা পান। তাঁকে সর্বক্ষণ ঘিরে থাকেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তা সত্ত্বেও কেউ তাঁকে পিছন থেকে কীভাবে ধাক্কা মারল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।

এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতর চরমে পৌঁছেছে। বিজেপি দাবি করেছে, ভোটের মুখে সহানুভূতি কুড়নোর জন্যই এমন বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, তৃণমূল তাদের নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে দাবি করেছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার ঘটনা আগেও বহুবার হয়েছে। তাঁকে চুপ করাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

Previous articleমমতার বাঁ পায়ে ‘গুরুতর’, চোট, প্লাস্টার হয়েছে, উডবার্ন ওয়ার্ডে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন
Next articleহুইল চেয়ারে ঘুরে প্রচার করব, বার্তা মমতার,সংযত থাকার আবেদন হাসপাতালের বেডে শুয়ে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here