দেশের সময় ওয়েবডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকেন। কবিতা লেখেন। গানের সুর দেন। আর এবার পুজোর অ্যালবামে একটি গানই গেয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যার উদ্বোধন হল। সেখানেই প্রকাশিত হল পুজোর গানের অ্যালবাম। যার আটটি গানই মুখ্যমন্ত্রীর লেখা।
প্রতিবারই এই গানগুলি লেখেন তিনি। সুরও করেন। এবারও তার অন্যথা হল না। প্রকাশিত হওয়া এই ‘জননী’ অ্যালবামের একটি গান গেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। মহালয়ার দিনই নজরুল মঞ্চে নিজের গাওয়া গানের অ্যালবাম প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
গাইলেন গান। একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গলা মেলান বাবুল সুপ্রিয় এবং ইন্দ্রনীল সেন। গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলে যোগদানের পর এই প্রথমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেল বাবুল সুপ্রিয়কে। মমতা বাজালেন সিন্থেসাইজারও।
৩০ সেপ্টেম্বর ছিল ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার আগের রাতে শিল্পী ইন্দ্রনীল সেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন শিল্পী নচিকেতাও। সেদিন অনেক রাত পর্যন্ত গানের রেওয়াজ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক ঘণ্টা মতো গান নিয়ে আলোচনা এবং সুর বাঁধার কাজ হয়।
এবার সেই গানই মহালয়ার সন্ধেয় প্রকাশ হল। জানা গিয়েছে, এই অ্যালবামের মূল থিম ‘নারীশক্তি’। গানের কথায় উঠে এসেছে সেই নারীশক্তির জয়গান। থিম ‘নারীশক্তি’। গানের মাধ্যমে নারীশক্তির জয়গানই তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা গানের উন্নতিতে দীপাবলির পর বৈঠকে বসার কথাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি দুর্গার ছবি আঁকেন। মমতার আঁকা দশভুজার হাতে নেই কোনও অস্ত্র। মা দু্র্গার বাহনের জায়গায় এঁকেছেন একটি পাখি। ঘাসের উপর ছড়িয়ে শিউলি ফুল। মমতার আঁকা দুর্গাই এবার কলকাতা পুলিশের কার্ড, লিফলেট, প্রচারপত্রের প্রচ্ছদ। এই অনুষ্ঠানের পর ৬টি পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারও একাধিক পুজোর উদ্বোধন করতে যাবেন মমতা।
একমাত্র দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসই লখিমপুর খেরিতে পৌঁছতে পেরেছে। দলীয় প্রতিনিধিরা দেখা করেছেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। বুধবার এমনটাই জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র পুজো সংখ্যা উদ্বোধনে নজরুল মঞ্চে বক্তব্য রাখেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই তাঁর গলায় শোনা যায় লখিমপুরের কথা।
ফের একবার লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন মমতা। এরপরই বলেন, ‘তৃণমূলই একমাত্র দল যার প্রতিনিধিরা লখিমপুরে গিয়ে পৌঁছতে পেরেছেন। দোলা সেন, কাকলি ঘোস দস্তিদার, প্রতিমা মণ্ডল এবং আবীর বিশ্বাস লখিমপুরে গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁরা ঘুরপথে সেখানে পৌঁছেছেন।’ পাশাপাশি মমতা বলেন, ‘দোলা সেন তো পাঞ্জাবী সেজে লখিমপুরে ঢুকেছেন।’