দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। আজ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তারপর আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে। সম্ভবত আগামী বুধবার আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় যশ।
এদিকে, গত কয়েকদিন থেকেই গা জ্বালানি গরমে হিমশিম খাচ্ছেন বঙ্গবাসী। বৃষ্টির দেখা নেই। ভোর হতে না হতেই চড়া রোদে নাজেহাল অবস্থা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যে আগামী মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৫ মে থেকে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে পরবর্তী সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হবে।
২৩ মে থেকে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরে ঘণ্টায় ৪৫-৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি। ২৩ মে’পর থেকে হাওয়ার বেগ আরও বাড়তে থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। ২৩ মে থেকে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা মাঝ সমুদ্রে রয়েছেন, তাঁদের ২৩ তারিখ সকালের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গত বছর আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়েছিল বাংলার একাংশ। এবার ঘূর্ণিঝড় যশ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের এমন নামকরণ কেন ?
জানা যাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে ওমান। এই ঝড়ের নাম যশ বা ইয়াস। যার মানে হল দু:খ। পারসি ভাষা থেকে এই শব্দটি এসেছে। ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা-সহ ১৩টি দেশ নিয়ে গঠিত কমিটি এই নাম ঠিক করেছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকায় থাকা দেশগুলি নামকরণ করে। পৃথিবীতে মোট ১১টি সংস্থা ঝড়ের নাম ঠিক করে। ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন ও ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিত অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়ার সদস্য দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। যশের পর আরও যে ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়েছে, সেগুলি হল গুলাব, সাহিন, জাওয়াদ, অশনি, সীতরাং, মানদৌস, মোচা।