দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কি ভারত সফরের সময় বৈঠকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রসঙ্গ তুলবেন? হোয়াইট হাউসের এক অফিসারকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। তিনি জানান, ভারতে এসে ভাষণে ট্রাম্প ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যখন তাঁর একান্তে বৈঠক হবে, তখনও বিষয়টি উঠবে।
তাঁর কথায়, “ভারত ও আমেরিকা গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সভায় সেকথা উল্লেখ করবেন। বৈঠকেও তিনি প্রসঙ্গটি তুলবেন। কারণ, আমাদের প্রশাসনের কাছে ধর্মীয় স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে এই প্রথমবার ধর্মকে নাগরিকত্ব দেওয়ার সময় বিবেচনায় আনা হবে। নাগরিকত্ব আইন বলছে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যত অ-মুসলিম ব্যক্তি ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন, তাঁরা সকলেই শরণার্থী হিসেবে এ দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আমেরিকায় ইতিমধ্যে অনেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছেন। হোয়াইট হাউসের ওই কর্তা বলেন, “ভারত ও আমেরিকা, উভয়েই কয়েকটি সর্বজনীন মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। আমরা ভারতকে উৎসাহ দেব যাতে তারা আগামী দিনেও ওই মূল্যবোধগুলি মেনে চলে।”
এরপরেই তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা যে ইস্যুগুলি তুলেছেন, তার কয়েকটি নিয়ে আমরাও চিন্তিত।” পরে তিনি বলেন, “আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মোদীর সঙ্গে বৈঠকে সেই ইস্যুগুলি তুলবেন। তিনি বলবেন, সারা বিশ্ব চায়, ভারত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলি মেনে চলুক। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সম্মান করুক।”
ভারতীয় সংবিধানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানেই ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা আছে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সম্মান করার কথা আছে। সব ধর্মের সঙ্গে সমান আচরণ করার কথা আছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে এই বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিশ্চয় এসম্পর্কে কথা বলবেন।